Instant Loan Apps: হঠাৎ টাকা লাগবে? হাসপাতালের বড়সড় বিল এসেছে? বা পছন্দের ফোনটা এখনই না কিনলেই নয়? অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে আজকাল ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ থেকে ধার নিচ্ছেন। মুহূর্তের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। না লাগছে তেমন কোনও ডকুমেন্ট, না আছে কোনও জটিলতা। শুধু ফোনে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। কিন্তু তারপর? সেখানেই হয় সর্বনাশের শুরু। কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অসুস্থতায় বিপদে পড়া পরিবার, আজকাল স্মার্টফোনে অনেকেই ইনস্ট্যান্ট লোনের অফারের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। কিছু অ্যাপে তো মাত্র ১০ থেকে ৩০ মিনিটেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। প্রয়োজন শুধু স্মার্টফোন, পরিচয়ের প্রমাণপত্র আর ছবি।
কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, ঝটপট লোন নিতে গিয়ে ঋণের জালে কীভাবে জড়িয়ে পড়ছেন।
অধিকাংশ অ্যাপই বেশ সন্দেহজনক
বাজারে এমন বেশ কিছু অ্যাপ আছে যেগুলির আরবিআই-এর অনুমোদনের বিন্দুমাত্র নেই। বেশিরভাগ অ্যাপই বেশ সন্দেহজনক। লাগাতার বিজ্ঞাপন আর অফারের ফাঁদে ফেলে এরা কাস্টমার ধরে। এরপরেই শুরু হয় ধার শোধের অসহনীয় চাপ।
ধার মেটাতেও ধার?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব অ্যাপে ঋণ নিলে সেখানে সুদের হার অনেক বেশি থাকে। প্রথম টাইম লিমিটের মধ্যে ঋণ শোধ না করতে পারলেই আবার সুদের রেট বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে ধার মেটাতেই ফের ধার নিয়ে ফেলে। এভাবে চলতে চলতে বাড়ে মানসিক চাপ। কেউ কেউ হতাশায় আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন।
এছাড়া এমনও অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলি ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করে। সময়মতো টাকা না দিলে, ফোন কলে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। আত্মীয়-বন্ধুদের ফোন করে অপমান করে। এর ফলে সমাজে মুখ দেখানোও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
২০২৩ সালে ভোপালে এমনই এক ঘটনা হয়েছিল। ঋণের চাপে গোটা এক পরিবার আত্মহত্যা করে। স্বামী, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, সকলেই একসঙ্গে আত্মহত্যা করে।
সাধারণ ব্যাঙ্কের তুলনায় অনেক বেশি সুদ
একটা কিস্তি মিস করলেই কয়েকগুণ পেনাল্টি
ক্রেডিট স্কোর নষ্ট হয়
ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার হয়
হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়
RBI-এর অনুমোদনও নেই বহু অ্যাপের
টাকা নেয়ার আগে ভাবুন, যাচাই করুন। RBI-এর অনুমোদন আছে কিনা জানুন। সম্ভব হলে ব্যাঙ্ক থেকেই নিয়ম মেনে ঋণ নিন। তাড়াতাড়ি টাকা পেতে গিয়ে ফাঁদে পা দেবেন না।