scorecardresearch
 

Investment Tips: সন্তানের পড়াশুনোর জন্য ১ কোটির টার্গেট! এখনই বিনিয়োগ করুন ৫ উপায়ে

Investment For Your Child Future: কেন এত বড় অঙ্ক মাথায় রাখবেন? আসলে ১৫ বছর পর ১ কোটি টাকার মূল্য এখনকার মতো থাকবে না। ১ কোটি টাকার মূল্য ১০ বছরেই অর্ধেক হয়ে যাবে। এভাবেই ১৫ বছর পর আজকের ১ কোটির মূল্য হবে ৩৬ লক্ষ টাকার সমান।

Advertisement
সন্তানের পড়াশুনোর জন্য এখন থেকেই বিনিয়োগ করুন।   সন্তানের পড়াশুনোর জন্য এখন থেকেই বিনিয়োগ করুন।
হাইলাইটস
  • শিশুর ভবিষ্যতের জন্য করুন বিনিয়োগ।
  • ১৫ বছর মাথায় রেখে বিনিয়োগ।
  • ১ কোটি টাকার টার্গেটে কীভাবে বিনিয়োগ?

হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধি আরও বড় আকার নেবে। বিশেষ করে সন্তানদের পড়াশুনোর খরচ আরও বাড়বে। তাই এখন থেকে শুরু করুন সঞ্চয়। আর ভারতে সঞ্চয়ের পরম্পরা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু কোথায় সঞ্চয় করলে আপনার সন্তানের ভবিষ্যতে লাভ হবে? আগামী ১৫ বছরে ১ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করতে চাইলে ৫টি বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। 

ধরুন আপনার সন্তানের বয়স এখন ৩ বছর। সেক্ষেত্রে ১৫ বছর মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে পারেন। উচ্চমাধ্যমিকের পরই নতুন কোর্সে ভর্তি হতে সমস্যা হবে না তখন। কেন এত বড় অঙ্ক মাথায় রাখবেন? আসলে ১৫ বছর পর ১ কোটি টাকার মূল্য এখনকার মতো থাকবে না। ১ কোটি টাকার মূল্য ১০ বছরেই অর্ধেক হয়ে যাবে। এভাবেই ১৫ বছর পর আজকের ১ কোটির মূল্য হবে ৩৬ লক্ষ টাকার সমান। ২৬ বছর বাদে ১৮ লক্ষ। এবং ৩০ বছর বাদে ১৩ লক্ষের কাছাকাছি। সেই জন্য বড় অঙ্কের সঞ্চয় দরকার।

এসআইপি (SIP)- চক্রাকার বিনিয়োগ করতে পারেন। স্মলক্যাপে এখন থেকে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে টাকা উঠে আসবে। যেমন- HDFC Small Cap Fund ১৮ শতাংশ তুলে দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। Reliance Small Cap Fund-র টার্নওভার ১৫১ শতাংশ। ৭৫ শতাংশ টার্নওভার SBI Small Cap Fund-র। ১৮ শতাংশ রিটার্ন ধরলেও মাসে ১২,৬৫৬ টাকা করে জমালে ১৫ বছরে হবে ১ কোটি টাকা। 

বিমা (Insurance)- বিমাও একটি নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হতে পারে। এনডাওমেন্ট (Endowment) বিমা প্রকল্পে ম্যাচিওরিটিতে বড় সুবিধা পান বিমাগ্রহীতারা। সাধারণভাবে ৬-৭ শতাংশ রিটার্ন দেয় এই বিমা। হিসাব বলছে, ১৫ বছরে ১ কোটি টাকা পেতে হলে মাসে ৩০-৩২ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। আয়কর আইনের ৮০সি অনুযায়ী করছাড়ের সুবিধা মেলে। তবে ভাল রিটার্নের জন্য বিমা উত্তম হাতিয়ার নয়। সুরক্ষার জন্যই এটা করান অনেকে। 

Advertisement

রিয়েল এস্টেট (Real Estate)- সম্পত্তি অর্থাৎ রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করতে পারেন। ভারতে জায়গা-জমি কিনে বিনিয়োগ দীর্ঘদিনের পুরনো রীতি। জমি বা বাড়িতে বিনিয়োগ করলে যতই বাজারের হাল খারাপ থাকুক দাম বাড়তেই থাকবে। আর ভারতীয় রিয়েল এস্টেটের যা ট্রেন্ড তাতে বছরে ৮-১০ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। তবে বাস্তবে সেটা অনেকটা বেশি। ঠিকঠাক জায়গায় জমি কেনা গেলে ৫ বছরেই হয়তো দ্বিগুণ দাম পেয়ে যাবেন। এখনই ২৫-৩০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি কিনলে ১৫ বছর পর তার মূল্য দাঁড়াবে ১ কোটিরও বেশি।

সোনা (Gold)- সোনা শুধু গয়নার কাজে লাগে না বরং বিনিয়োগের উত্তর মাধ্যম। বাজারের অবস্থা একটু খারাপ হলেই বিনিয়োগকারীরা সোনা কিনতে শুরু করেন। দীর্ঘকালীন সময়ে বিনিয়োগ ধরলে প্রতি বছর ৭-৮ শতাংশ রিটার্ন দেয় হলুদ ধাতু। সেই হিসেবে ১৫ বছরে ১ কোটি টাকা চাইলে মাসে খরচ করতে হবে ৩০ হাজার টাকা। তবে সোনার গয়না কিনলে লাভবান হবে না। তার ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতেই অনেক টাকা খরচ। তাই গোল্ড বন্ড বা ইটিএফে বিনিয়োগ করতে পারেন। 
  
এফডি (FD)- যাঁরা বেশি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না তাঁদের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট সেরা বিনিয়োগের মাধ্যম। তবে বিনিয়োগের জন্য এটা সেরা নয়। বছরে গড় মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশ। আর এফডি বেছে নিলে আপনি ৮ শতাংশের হিসেবে প্রতি মাসে দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। 

সব ধরনের বিকল্প খতিয়ে দেখলে এসআইপি ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগই উত্তম। ১ কোটি টাকা ১৫ বছরে উঠে আসবে।           

(বিনিয়োগ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যে কোনও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কতখানি ঝুঁকি নিতে পারবেন সেটা আপনাকে বিবেচনা করে নিতে হবে।)

আরও পড়ুন- কর্মচারীদের বড় ধাক্কা, কমল পিএফে সুদের হার, গত ৪০ বছরে সর্বনিম্ন

Advertisement