রুপোয় বিনিয়োগ(লিখছেন সমীরকুমার সেন, সিএ)
এতদিন সকলেই বাজি ধরতেন সোনার উপর। তবে বর্তমানে রুপোর দামও হু হু করে বাড়ছে। ২ লক্ষ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে ১ কেজির রুপোর দাম। আর এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এখন কি রুপোয় বিনিয়োগ করাই ভাল? রুপোর দাম কি আরও বাড়তে পারে? আর এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলি, হ্যাঁ, রুপোর দাম বাড়তেই পারে। এটা পৌঁছে যেতে পারে নতুন উচ্চতায়। আর এমনটা এমনি এমনি বলছি না। তার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। যেমন ধরুন-
১. আমেরিকার ফেড রেট কমিয়েছে। এর ফলে ডলারের দাম কমতে পারে। আর এমনটা হলেই কমোডিটি মার্কেট এবং ইকুইটি মার্কেট উঠতে পারে। যেই কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে রুপোর দাম।
২. আমেরিকায় আর্থিক মন্দাও আসতে পারে। সেই কারণেও অনেকেই সোনা এবং রুপোতে ভরসা রাখছেন। তার ফলে বাড়তে পারে দাম।
৩. এখন ইভি গাড়ির ব্যাটারি, ইলেকট্রনিক চিপ ও সোলারের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্যও রুপো ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণেও রুপোর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও থামছে না। পাশাপাশি শুল্ক যুদ্ধও চলছে। সেই কারণেও বাড়তে পারে রুপোর দাম।
৫. আর একটা বিষয় হল, গত কয়েক বছরে রুপোর চাহিদা বাড়লেও সাপ্লাই কমেছে। আর সেই কারণে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বাড়ছে তফাত। যার ফলে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে রুপোর দাম।
সোনাকে কি ছাপিয়ে যাবে?
দামের হিসাবে আপাতত সোনাকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না রুপো। তাই এটা অলীক কল্পনা। যদিও রুপোয় বিনিয়োগ এখন বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। তাতে ঝুঁকি কম। ভাল রিটার্নও পেতে পারেন।
কীভাবে করবেন বিনিয়োগ?
আপনাকে অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে বুদ্ধিমানের মতো। এক্ষেত্রে রুপোর গয়না কিনে লাভ নেই। এই ভুলটা করলে অহেতুক মেকিং চার্জ দিতে হবে। তার বদলে রুপোর ইটিএফ বা মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে পারেন। তাতে রিটার্ন ভাল পাবেন।
তবে এখন অনেক ক্ষেত্রেই গোল্ড-সিলভারের একসঙ্গে ইটিএফ এবং মিউচুয়াল ফান্ড বেরিয়েছে। সেগুলিতেও করতে পারেন বিনিয়োগ।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।