
Jamai Sasthi 2023 Market Rate: বাজারদরে যেন আগুন লেগেছে! তবে তা সত্ত্বেও জমজমাট জামাইষষ্ঠীর বাজার। রুই-কাতলা-ইলিশ-চিংড়ি থেকে শুরু করে মুরগি বা খাসির মাংস— সবেরই দাম বেশ চড়া। জামাই আদরে ফল, ফুল, মিষ্টি কিনতে গেলেও হাতে ছ্যাঁকা লাগছে! প্রায় সব কিছুর দামই রাতারাতি ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
জামাইষষ্ঠীর মাছের দর
• জামাইষষ্ঠীর মাছের বাজার যেন তপ্ত ইস্পাত! গোটা রুই মাছ প্রতি কিলো ১৪০-১৬০ টাকা, কাটা মাছের দাম প্রতি কিলো ২০০-২৫০ টাকা, গোটা কাতলা মাছ প্রতি কিলোতে ২৪০-২৬০ টাকা, কাটা কাতলার দাম প্রতি কিলো ৩০০-৩৮০ টাকা।
• ইলিশের দাম এখন আকাশছোঁয়া! ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,০০০-১,২০০ টাকা কেজি দরে। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে হচ্ছে ১৮০০-২,০০০ টাকা কেজিতে। তবে এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশ অধিকাংশ বাজারেই প্রায় নেই বললেই চলে।
• জামাইষষ্ঠীর বাজারে গলদা চিংড়ি কেজি প্রতি ৫৫০-৬৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি প্রতি কিলো ৭০০-৮০০ টাকা। পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পার্শে ৩৫০-৪০০ টাকা আর ভেটকি মাছ প্রতি কিলো ৫০০-৫৫০ টাকা, মাঝারি থেকে বড় মাপের পমফ্রেট মাছ ৫৫০-৭০০ টাকা কিলো।
জামাইষষ্ঠীর মাংসের দর
গোটা মুরগির মাংস প্রতি কিলো ১৩০-১৪৫ টাকা, কাটা মুরগির মাংসের দাম ২৪০-২৫০ টাকা কিলো, খাসির মাংস ৭২০-৮০০ টাকা কিলো।
ফলের দর
জামাইষষ্ঠীর বাজারে আমের দাম রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে। ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি ৬০-৮০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে এখন ১০০-১৫০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে। কেজিতে ৮০-১০০ টাকা দরেও আম পাওয়া যাচ্ছে। আসলে, এ বছর আমের ফলন বেশি হওয়ায় দাম সে ভাবে বাড়েনি বলেই মত গড়িয়াহাট বাজারের এক ফল বিক্রেতার। তবে সেগুলির চেহারা দেখে জামাইয়ের পাতে দিতে চাইবেন না অনেকেই। আমের পাশাপাশি তরমুজ, লিচুর দামও বেশ কিছুটা বেড়েছে।
শেষ পাতের মিষ্টির দর
এবার বাঙালির শেষ পাতের মিষ্টির কথায় আসা যাক। জামাইষষ্ঠীর বাজারে মিষ্টির দামও বেশ কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে বলার চেয়ে বলা ভাল, কম দামের মিষ্টি এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ৬-৮ টাকা পিস রসগোল্লা অধিকাংশ দোকানে নেই বললেই চলে। ভদ্রস্থ মাপের রসগোল্লার দাম শুরু হচ্ছে ১০ টাকা থেকে। সরপুলি, রসমালাই, ক্ষীর কদম, জলভরা সন্দেস, মালাই চপ— সবেরই দাম অন্তত ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে।
যে সব দোকানে নিত্যদামের কিছু মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলিতে স্টক ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। মিষ্টি দইয়ের দাম না বাড়লেও আকাশছোঁয়া চাহিদার জেরে অধিকাংশ দোকানেই জোগানে টান পড়ছে। ফলে রসগোল্লা, কালাকাঁদ, লেডিকিনি, ল্যাংচা, ছানাপোড়ার মতো ‘রেগুলার’ মিষ্টি দিয়েই পাত ভরানোর ব্যবস্থা করার কথা ভাবতে হচ্ছে অনেককে।
**উল্লেখিত দর কসবা, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, ঘোলা চত্বরের বাজার দরের গড় হিসাবে দেওয়া হয়েছে। বালিগঞ্জ-বাঘাযতীন-শিয়ালদহ স্টেশন এলাকার বাজারদর এর চেয়ে কিছুটা সস্তা। পাশাপাশি, লেকমার্কেট, ভবানীপুর, সল্টলেক এলাকার বাজারদর এর চেয়ে কিছুটা চড়া।