৫ মে, অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে অনলাইনেই মিলবে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র। ওইদিন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তৃতীয় টার্মের প্রথম বর্ষপূর্তি। গত বছর ৫ মে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে এই সরকারি পোর্টালের সূচনা হবে।
অনলাইন জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের পরিষেবা মিলবে Janma Mrityu Tathya (https://janma-mrityutathya.wb.gov.in) নামের পোর্টাল থেকে। এই পোর্টালটি পরিচালনা করতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ হয়ে গিয়েছে। অনলাইন জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের পরিষেবা সম্পর্কিত যে কোনও সহায়তার জন্য Janma Mrityu Tathya (https://janma-mrityutathya.wb.gov.in) পোর্টালের পাশাপাশি ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ — এই টোল ফ্রি নম্বরেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের হয়রানির এবার সমাপ্তি হতে চলেছে। এই সংক্রান্ত পরিষেবার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিনের দালালচক্রের ইতি হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই। জানা গিয়েছে, আগামী দিন থেকে কলকাতা পুর এলাকায় কোনও সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে শিশুর জন্ম হলে, ওই হাসপাতালই শিশুটির জন্মের শংসাপত্র দেবে। কলকাতা পুর এলাকার কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে শিশুর জন্ম হলে, নির্দিষ্ট নথিপত্রের ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভা ডিজিটাল সাক্ষরিত শংসাপত্র দেবে।
একই ভাবে কলকাতা পুর এলাকার কোনও নাগরিকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ওই শ্মশান, গোরস্থান বা অন্যান্য ধর্মীয় মত মেনে শেষকৃত্য করার জায়গা থেকেই। কলকাতার বাইরে পুর এলাকার কোনও নাগরিকের শেষকৃত্য হলে তাঁর পরিবারকে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালই মৃত্যুর শংসাপত্র দেবে। হাসপাতাল ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে, সে ক্ষেত্রেও শংসাপত্র দেবে কলকাতা পুরসভাই।