রাজ্যের কৃষকদের জন্য দারুণ সুখবর। খারিফ মরসুমের (kharif season) জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa) টাকা (Krishak Bandhu Payment) পাওয়া নিয়ে বড় আপডেট পাওয়া গেল। সবকিছু ঠিক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে চলেছে। ২৬ এপ্রিল নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই কৃষক বন্ধু-সহ নানা সামাজিক প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যেই কৃষক বন্ধুর ওয়েবসাইটে রাজ্যের বেশিরভাগ কৃষকদের স্টেটাসে বড় আপডেট দেখা গিয়েছে। ওয়েবাসাইটে কৃষকদের স্টেটাসে (krishak bandhu status) 'Account Valid' চলে এসেছে। এটা টাকা দেওয়ার আগে একেবারে শেষ ধাপ। অর্থাৎ এই স্টেটাসের পরেই কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়।
এবার কৃষক বন্ধুর টাকা দেওয়া সংক্রান্ত কাজগুলি খুব দ্রুত গতিতে হচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে শিবির। ২০ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিষেবা প্রদানের কাজ চলবে। কয়েকদিন আগেই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিয়েছেন যে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তি করতে হবে ২০ এপ্রিলের মধ্যে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলবে।
২৬ এপ্রিল নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখান থেকেই রিমোট টিপে সমস্ত সামাজিক প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকার শিবিরে যারা কৃষক বন্ধুর তালিকায় নতুন নাম তুলেছেন, তাঁরাও টাকা পাবেন। তবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে একটু সময় লাগবে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa) আওতায় রাজ্য সরকার বছরে দু'বার আর্থিক সাহায্য দেয়। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকরা রবি ও খরিফ ফসল চাষের জন্য দুটি কিস্তিতে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পান। যাঁদের ১ একরের কম জমি রয়েছে, তাঁরা ৪ হাজার টাকা পান। আর যাঁদের ১ একরের বেশি জমি রয়েছে, তাঁরা পান ১০ হাজার টাকা। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে খারিফ মরসুমের টাকা পাওয়া যায়। আর রবি মরসুমের টাকা মেলে অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে। এখন এপ্রিল মাস চলছে। তাই খারিফ মরসুমের টাকা দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খারিফ মরসুমের টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল জুন মাসে। তবে এবার সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই এবার কৃষক বন্ধুর টাকা জুন মাসের আগেই ঢুকে যেতে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।