রাজ্যে আরও ৫ লক্ষ মহিলা পাবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। ডিসেম্বর থেকে এই টাকা দেওয়া শুরু হবে। শুক্রবার বিধানসভায় এ কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা লক্ষ্মীর ভান্ডার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি সবিস্তারে জানান। চলতি বছর জুন পর্যন্ত রাজ্যে কত জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই সুবিধা দিতে রাজ্য সরকারের কত খরচ হয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার শশী বিধানসভায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম তালিকাভুক্ত করা শুরু হয়েছে। ৫ লক্ষ ৭ হাজার ২ জন মহিলার নাম নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই প্রকল্পে। ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁরা টাকা পাবেন।
২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পান বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন শশী পাঁজা। তিনি জানান, যে সব মহিলার বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে যাবে, তাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাবেন।
এ পর্যন্ত কত জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেয়েছেন তা-ও জানিয়েছেন মন্ত্রী। বিধায়কের প্রশ্নে তাঁর জবাব,'২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেয়েছেন। এই প্রকল্প চালাতে রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে ১৩,৫২৩.৮৮ হাজার কোটি টাকা।
বলে রাখি,২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে চালু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। মহিলাদের মাসে মাসে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলারা মাসে মাসে পান আর্থিক সহায়তা। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সেই প্রকল্পে আর্থিক সুবিধা বাড়ায় রাজ্য সরকার। এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পই নানা নামে চালু হয়েছে অন্য রাজ্যগুলিতেও। মধ্যপ্রদেশে ভোটের আগে লাডলি বহনা যোজনা চালু করেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। তার ফল বিজেপি পেয়েছে হাতেনাতে। এরপর মহারাষ্ট্রেও একই ধরনের প্রকল্পের সুফল ঘরে তুলেছে তারা। মহিলাদের বিরাট অংশের ভোট ফারাক গড়ে দিচ্ছে নির্বাচনে। বাংলাতেও মহিলা ভোটের সিংহভাগ পেয়েছে তৃণমূল। সদ্য লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টিই গিয়েছে ঘাসফুলের ঝুলিতে।