রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উজ্জয়িনীতে ৮৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে মহাকালেশ্বর মন্দির করিডোর তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে কীভাবে যাবেন এই করিডোরে, কত খরচ হবে ইত্যাদি। প্রতিবছরই পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক মানুষ এই মন্দিরে যান। এই করিডোর খোলার পর সেখানে ভক্ত সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মহাকালেশ্বর মন্দির ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি।
হাওড়া থেকে ভোপাল যাওয়ার জন্য রয়েছে ট্রেন। প্রতিদিন ট্রেন নেই। সপ্তাহে তিনটি ট্রেন যায়। সেই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে SHIPRA EXP ও HWH BPL EXPRESS ও। কেমন খরচ এই ট্রেনগুলিতে যাওয়া আসার? খরচ খুব বেশি নয়। যদি আপনি স্লিপার কোচে যান তাহলে যাওয়া আসা ১২০০ টাকায় হয়ে যাবে। আর এসিতে গেলে সেই খরচ পড়ে যাবে প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও সিনিয়ার সিটিজেনদেরও নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : মা ও মেয়ে দু'জনের সঙ্গেই প্রেম-ঘনিষ্ঠতার ভিডিও; অয়ন খুনের 'অজানা গল্প'
আরও পড়ুন : খরচ ৮৫৬ কোটি টাকা, শিবের মহাকালেশ্বর করিডোর দেখলে তাক লেগে যাবে
ভোপালে তো পৌঁছলেন তারপর কী করবেন ? মহাকালেশ্বর মন্দির করিডোর রয়েছে উজ্জয়িনীতে। তাই আপনাকে উজ্জয়িনী পোঁছতে হবে। ট্রেনে বা বাসে উজ্জয়িনী যেতে পারেন। ট্রেনে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। খরচ ১৫০ টাকার বেশি নয়। আর বাসে গেলে সময় লাগবে আর কিছুটা বেশি আবার ভাড়াও। টাকার অঙ্কটা হতে পারে সাড়ে তিনশ টাকা পর্যন্ত।
উজ্জয়িনী স্টেশনে পৌঁছেই আপনি হোটেল পেয়ে যাবেন। আর যদি হোটেলে থাকতে না চান তাহলেও চিন্তা নেই। কারণ সেখানে একাধিক ধর্মশালা ও মঠ রয়েছে। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে থাকা খাওয়া বিনামূল্যে পাবেন। এই উজ্জয়িনী স্টেশন থেকে মহাকালেশ্বর মন্দির বা করিডোরের দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। অটোয় বা হেঁটে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন : দেওয়াল ভাঙতেই বেরিয়ে এল কাঁড়ি কাঁড়ি রুপোর কয়েন, তাজ্জব সবাই
তাহলে এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেতে চাইলে খরচ কিন্তু খুব বেশি নয়। যদি স্লিপার কোচে যান ও ধর্মশালা বা মঠে থাকেন তাহলে সব মিলিয়ে মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘুরে আসতে পারবেন।