প্রতীকী ছবি২৯টি পুরনো শ্রম আইন বাতিল করে চারটি নতুন শ্রম আইন আনছে মোদী সরকার। এই নতুন আইন মজুরি, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পেশাগত সুরক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। যা ২১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। এই বড় পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হল ভারতে ব্যবসা করা সহজ করে তোলা, যাতে কোম্পানিগুলি নিয়ম মেনে চলতে পারে।
নতুন শ্রম আইন এবং রিয়েল এস্টেট বাজার: বড় পরিবর্তনের আশা
ভারতের রিয়েল এস্টেট খাত, যার মূল্য ২০২৪ সালে প্রায় ৩৮৫.১৮ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ৫.১৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। নতুন শ্রম আইনগুলি এই খাতকে, বিশেষ করে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন বাজারকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন আইনের অধীনে নিয়ম মেনে চলার অর্থ হল ডেভেলপাররা জানতে পারবেন যে তাদের সাইটে কে কাজ করছে, তাদের কত বেতন দেওয়া হচ্ছে এবং কীভাবে তাদের সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে তা কেবল ডেভেলপার পর্যায়ে নয়, বরং সমগ্র ঠিকাদার শৃঙ্খলে অবহিত রাখা প্রয়োজন। এতে কাজের উন্নতি করবে, নিরাপত্তা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদী খরচ বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু নিয়ম না মানার খরচ অনেক বেশি হবে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
এলান্টে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আকাশ কোহলি বলেন, "এক বছরের গ্র্যাচুইটি এবং ওভারটাইমের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার কারণে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে।"
BOOTES-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপক রাই বলেন, “নতুন আইন সরাসরি রিয়েল এস্টেট খাতকে উপকৃত করবে। এটি বিশেষ করে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন বাজারকে চাঙ্গা করবে। যখন কর্মীরা গ্র্যাচুইটি এবং বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তা পাবে, তখন তারা বাড়ি কিনতে উৎসাহিত হবে। কর্মীদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস এবং স্থিতিশীলতা তৈরি হলে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।" যে কারণে চাঙ্গা হতে পারে রিয়েল এস্টেট মার্কেট।