কর্মরত ব্যক্তিরা যখন চাকরি (Job) পরিবর্তনের জন্য তাদের বর্তমান কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন, তখন তাঁদের নোটিশ পিরিয়ড (Notice Period) দিতে হয়। নোটিশ পিরিয়ড জানানোর নিয়ম প্রায় সব কোম্পানিতেই আছে। কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানিতে এ সংক্রান্ত নিয়ম (Notice Period Rule) ভিন্ন। যাইহোক, কর্মচারীরা নোটিশের মেয়াদ না দিয়েও চাকরি ছেড়ে যেতে পারেন, তবে এর জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। নোটিশ পিরিয়ড জানানো কেন প্রয়োজন এবং কেন এটি কর্মচারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আগে বোঝা দরকার।
নীতি এবং শর্তাবলী (Notice Period Policy and Terms)
নোটিশ পিরিয়ডের নিয়ম না মানা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কোনও কর্মচারীর জন্য উপকারী নয়। যখনই আপনি কোনও কোম্পানিতে যোগ দেন, আপনাকে বিভিন্ন নথিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। এর মধ্যে কোম্পানির পলিশির সঙ্গে কাজের শর্তও রয়েছে। এতেই আপনি নোটিশ পিরিয়ডের সময় সম্পর্কে তথ্য পাবেন। নোটিশ পিরিয়ডের সময় সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নথিতে লেখা আছে। উদাহরণস্বরূপ, নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কম নোটিশ পিরিয়ড দিতে চাইলে কী করতে হবে আর নোটিশ পিরিয়ড না দিতে চাইলে কী করতে, সবটাই লেখা থাকে নথিতে।
নোটিশ পিরিয়ডের সময়কাল (Duration of notice period)
নোটিশ পিরিয়ডের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। প্রতিটি কোম্পানি তাদের চুক্তি নীতিতে এটি উল্লেখ করে। সাধারণত, অস্থায়ী কর্মচারীদের জন্য নোটিশের সময়কাল (এমপ্লয়িজ অন প্রোবেশন) ১৫ দিন থেকে ১ মাস, যেখানে স্থায়ী কর্মচারীদের (পে-রোল এমপ্লয়িজ) নোটিশের সময়কাল ১ থেকে ৩ মাস। আপনি যদি চাকরিতে যোগদানের সময় নোটিশ পিরিয়ড চুক্তিতে স্বাক্ষর করে থাকেন, তবে আপনাকে সেই নীতি মানতে করতে হবে। যাইহোক, কোনও কোম্পানি কর্মচারীকে নোটিশ পিরিয়ড দিতে বাধ্য করতে পারে না। নোটিশ পিরিডয় না দেওয়ার শর্তগুলি সাধারণত আপনার কাজের চুক্তিতে লেখা থাকে। নোটিশ পিরিয়ডের সময়কাল বকেয়া ছুটির সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করার নিয়মও রয়েছে। এছাড়াও, নোটিশের সময়কালের পরিবর্তে পেমেন্ট করার বিকল্পটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মূল বেতনের ভিত্তিতে আপনাকে টাকা দিতে হবে
অনেক কোম্পানি নোটিশ পিরিয়ড কিনে নেয়। অর্থাৎ নোটিশ পিরিয়ড না দেওয়ার জন্য আপনার বর্তমান কোম্পানিকে টাকা দেয় আপনি যে কোম্পানিতে যাবেন তারা। যাইহোক, নোটিশ পিরিয়ড সম্পর্কিত যে কোনও প্রশ্নের জন্য আপনার কোম্পানির HR-কে জিজ্ঞাসা করা উচিত। কেউ চাকরি ছেড়ে দিলে যাতে সংশিষ্ট কর্মীর বদলি হিসেহে কাউকে পাওয়া যায়, সেই কারণেই নোটিশ পিরিয়ডের নিয়ম রাখা হয়। এতে কোম্পানির কাজে কোনও প্রভাব পড়ে না। কোনও কর্মী চাকরি ছাড়ার লেটার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্থা নতুন কর্মী খুঁজতে শুরু করে।