চা আর সিগারেটের নেশা যেমন আপনার বাজেটে থাবা বসায়, তেমনই স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটায়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই নেশা ছেড়ে ইনভেস্ট করুন বিমায়। এতে দু'রকম উপকার মিলবে। এক, চা-সিগারেটের নেশা থেকে মুক্তি অর্থাৎ স্বাস্থ্যের উন্নতি আর দুই, পরিবারের জন্য মিলবে আর্থিক নিশ্চয়তা।
খুব কম খরচে আর্থিক নিশ্চয়তা দেওয়ার একটি স্কিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। মাত্র এক কাপ চা আর একটি সিগারেটের খরচ যতটা, সেই টাকা দিয়েই বিমা কেনা যাবে। এটি হল প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা।
এক কাপ চা আর একটা সিগারেটের খরচে বিমা
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের পায়ের তলার মাটি শক্ত করা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার প্রিমিয়াম কেবলমাত্র ২০ টাকা। অর্থাৎ এক কাপ চা এবং একটা সিগারেটের খরচের সমান। এই যোজনায় প্রত্যেক মাসে ২ টাকা প্রিমিয়াম জমা করতে পারেন।
কী এই প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা?
৯ মে, ২০১৫ সালে এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। ২০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপৎকালীন বিমা কভার পাওয়া যায়। প্রতি বছর আপনার আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার প্রিমিয়ামনের টাকা কেটে নেওয়া হয়।
কী বিশেষত্ব এই বিমার?
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা এবং স্থায়ী অক্ষমতার ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। যার নামে ওই বিমা থাকে তার পরিবারকে এই অর্থ দেওয়া হয়। স্থায়ী আংশিক অক্ষমতা হিসেবে ধরা হয়, একটি চোখের সম্পূর্ণ ক্ষতি বা এক হাত বা পায়ের কার্যকারিতা হারানো। উভয় চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা এক হাত বা পায়ের কার্যকারিতা চলে গেলে তা স্থায়ী অক্ষমতা হিসাবে ধরা হয়। দুর্ঘটনা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু বা খুন করা হলেও পরিবারকে ওই টাকা দেওয়া হয়।
কারা লাভবান হবেন?
> ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সীরা এই বিমার সুবিধা পান। ৭০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নিজে থেকেই এই বিমার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়।
> কেবলমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
> আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা যে কোনও ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
> কোনও কারণে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে এই পলিসিও সমাপ্ত হবে।
কীভাবে করবেন আবেদন?
সেভিংস অ্যাকাউন্ট যে ব্যাঙ্কে রয়েছে, সেখান থেকেই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। ব্যাঙ্কের তরফে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। ফিল আপ করে, জরুরি নথি সহ জমা করতে হবে ব্যাঙ্কেই। এই প্রকল্পর হিসাব করা হয় ১ জুন থেকে পরের বছরের ৩১ মে পর্যন্ত। তাই নাম নথিভুক্ত করতে হবে এই সময়ের মধ্যেই। নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমেও এর জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার সময়ে লাগবে আধার কার্ড।