Pomegranate Farming: ভারতে পরম্পরাগত ভাবে যে চাষ করা হয়, তাতে প্রতি বছর ক্রমহ্রাসমান লাভ এবং প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হওয়া ক্ষতির কারণে কৃষকরা এখন অন্য বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছেন। চাষের কাজে লাভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। চাষিরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, মুনাফা বেশি এবং নষ্ট হবে না। তাড়াতাড়ি লাভ হবে যাতে।
কৃষকেরা এর মধ্যেই কিছু সময় ধরে ডালিমের চাষ করতে শুরু করেছেন। এই গাছ একবার লাগালে তার কিছুদিন পরিচর্যা করলেই তা টানা ফল দিতে শুরু করে এবং একবার গাছ ফল দিতে শুরু করলে ২৪ বছর পর্যন্ত সর্বাধিক ফল দিতে পারে। স্থান ভেদে এবং আবহাওয়া ভেদে ২-৪ বছর কম বেশি হলেও, মোটামুটি চব্বিশ বছর ফল পাওয়া সম্ভব।
২৪ বছর বসে খান
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাতে ডালিমের চাষ প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে। এই গাছটি থেকে চার বছরের মধ্যে চারা থেকে গাছে পরিণত হয়। ফল দিতে শুরু করে। আর একবার ফল দিতে শুরু করে। আগেই বলেছি যে ২৪ বছর পর্যন্ত আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত পোকামাকড়ের আক্রমণ না করে ব্যাস এটুকুই। বাকিটা শুধু মুনাফা তুলতে হবে।
ডালিমের চারা চাষ কীভাবে করবেন?
বিশেষজ্ঞদের অনুসারে ডালিমের চারা অগাস্ট অথবা মার্চ মাসে লাগাতে হবে। সঙ্গে এ বিষয়ে বিশেষ মনে রাখতে হবে, যে কোনওভাবে মাটিতে যে কোনও প্রকার মাটিতে এটি চাষ হতে পারে। এর জন্য কৃষকেরা একমাস আগে গর্ত খুঁড়ে রাখবেন। এই গর্ত প্রায় ১৫ দিন খোলা ছেড়ে দিতে হবে। এরপর ২০ গ্রাম শুকনো গোবর এখানে দিতে হবে। ১ কিলোগ্রাম সিঙ্গেল সুপার ফসফেট আধ গ্রাম, ক্লোরোপাইরিফস এর চূর্ণ তৈরি করে সমস্ত ঘর ভরে দিতে হবে। ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ডালিমের গাছগুলি জন্য পর্যাপ্ত জলসিঞ্চন দরকার এবং সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রতি ৫ থেকে ৭ দিন ব্যবধানে এটিকে জল দিতে হবে। এছাড়া মনে রাখতে হবে, যে ফল তখন ছিঁড়বেন না।
কত মুনাফা?
ডালিমের একটা গাছ থেকে ৮০ কিলো ফল দিতে পারে। ১ এক হেক্টর জমিতে প্রায় ৮ হাজার ৮০০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফল পাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী এক হেক্টরে ডালিম চাষ করলে আপনি আরামে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বছরে আয় করতে পারবেন। আর এই আয়কে মাস দিয়ে ভাগ করে দেখুন যে কোনও বড় চাকুরিজীবির চেয়ে বেশি আয় আসবে।