
Post Office Savings Scheme: পোস্ট অফিসের বেশ কিছু দুর্দান্ত স্কিম আছে। ব্যাঙ্ক বা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের পাশাপাশি ডাকঘরেও তাই কিছু টাকা জমাতে পারেন। বিশেষত, যাঁদের পেনশন নেই, তাঁদের এই বিষয়ে আলাদা করে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। bangla.aajtak.in-এর এই প্রতিবেদনে পোস্ট অফিসের এমনই এক স্কিমের বিষয়ে জানতে পারবেন। এতে বিনিয়োগ করলে মাসে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত আয় হতে পারে।
স্কিমের নাম পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (Post Office Senior Citizen Savings Scheme)। মূলত অবসরপ্রাপ্তদের কথা মাথায় রেখে এই স্কিম চালু করা হয়েছে। এখানে একদিকে যেমন নিরাপদে টাকা রাখতে পারবেন, অন্যদিকে নিশ্চিত, হাই-ইন্টারেস্টে রিটার্ন পাবেন। সুদের হার সত্যিই বেশ ভাল।
পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে কত টাকা আয় হতে পারে?
এই স্কিমে সুদের হার ৮.২ শতাংশ। ধরুন কোনও ব্যক্তির সারাজীবনের সঞ্চয় ৩০ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, কোনও জমি-বাড়ি বা গয়না বিক্রি করেও কারও হাতে এই অঙ্কের টাকা আসতে পারে। এমন ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীরা, কোথায় এই টাকা রাখবেন, তা স্থির করতে পারেন না।
এমন পরিস্থিতিতে পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে এককালীন বিনিয়োগ করা যেতে পারে। আর সেটা করলেই প্রতি বছর প্রায় ২.৪৬ লক্ষ টাকা সুদ পাবেন। ১২ মাস দিয়ে ভাগ করলে কত দাঁড়াচ্ছে? হিসাব অনুযায়ী, আপনার অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসেই প্রায় ২০,৫০০ টাকা এসে যাবে। অর্থাৎ, একবার বিনিয়োগ করলেই ঘরে বসে মাসিক ২০ হাজার টাকা আয় নিশ্চিত। পেনশন নেই, এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক।
কারা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন?
এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার ন্যূনতম বয়স ৬০ বছর হতে হবে। তবে যদি আপনি সরকারি চাকরিতে ভি.আর.এস নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে ৫৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যেও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ডিফেন্স কর্মীদের ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এই স্কিমে বিনিয়োগের সুযোগ মেলে।
কীভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
যে কোনও পোস্ট অফিসে গিয়ে এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সিঙ্গেল অথবা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। মাত্র ১,০০০ টাকা দিয়েই অ্যাকাউন্ট খোলার প্রসেস শুরু করা যাবে।
পোস্ট অফিস SCSS-এ আরও বেশ কিছু সুবিধা আছে
এই স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। চাইলে আরও ৩ বছর বাড়াতে পারবেন।
সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল, 80C ধারায়, এই স্কিমে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় পাবেন।
বিনিয়োগের পর ইচ্ছে করলে অ্যাকাউন্ট বন্ধও করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, ১ বছরের আগেই বন্ধ করলে, সেক্ষেত্রে কোনও সুদ পাবেন না। ১-২ বছরের মধ্যে বন্ধ করলে ১.৫% কম সুদ দেওয়া হবে। ২-৫ বছরের মধ্যে বন্ধ করলে ১% সুদ কেটে নেওয়া হবে।
সুদের উপর কর
যদি সুদের টাকা ৫০ হাজারের বেশি হয়, তাহলে TDS কাটবে। তবে ফর্ম 15G বা 15H ফিল আপ করে দিলেই আর কর কাটা হবে না। এই বিষয়ে আপনার আয়কর বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করুন।
এই স্কিম এত জনপ্রিয় কেন?
পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা নিরাপদ বিনিয়োগ বলা যেতে পারে। চড়া সুদ, সরকারের গ্যারান্টি এবং কর ছাড়, সব মিলিয়ে এই স্কিম সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আদর্শ।
ফলে, যদি অবসর জীবন নিশ্চিন্তে কাটাতে চান, তাহলে আজই পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করুন।