সামনেই ক্রিসমাসের মরশুম। তারমধ্যে শহর কলকাতায় ফিরেছে ঠান্ডার আমেজ। এরমধ্যে রবিবার বাজারে গিয়ে মুখে হাসি ফুটল। রবিবার ছুটির সকালে গোটা বাংলা জুড়েই ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম অপেক্ষাকৃত ভাবে অনেকটাই কমেছে। জানা যাচ্ছে, পোলট্রিগুলিতে এবার মুরগি চাষ ভাল হয়েছে, আর যোগান বৃদ্ধির কারণেই এক লাফে অনেকটা কমে গিয়েছে দাম।
প্রসঙ্গত পোল্ট্রির ডিমের দামে সম্প্রতি বেড়েছে। শনিবার কলকাতায় পোল্ট্রির ডিম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৭ টাকায়। একজোড়া পোল্ট্রির ডিম কেনার খরচ রাতারাতি বেড়েছে ২ টাকা। জানা যাচ্ছে, বড়দিনের কেকের জন্য বিভিন্ন ছোট-বড় বেকারি আগাম বুক করে রেখেছে ডিমের চালান। তাই বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ডিম আসছে কম। অথচ বড়দিনের বনভোজন, পিকনিকের জন্য সকালে মাস্ট ডিম। তাই চাহিদা তুঙ্গে, যোগান কম। আর তাতেই দাম চড়া হয়েছে পোল্ট্রির ডিমের।
তবে ডিম মুখ ফেরালেও রবিবাসরীয় বাজারে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে চিকেন। গড়িয়াহাট বাজারে চিকেনের দাম ২০০ ছুঁয়ে ফেলেছিল শনিবার। তবে রবিবার বদলে গেছে পরিস্থিতি। মানিকতলা বাজারে এদিন চিকেন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। কেবল কলকাতা নয়, হুগলির বিভিন্ন জায়গায় এদিন কাটা মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকার আশেপাশে। বর্ধমানে আবার গোটা মুরগি মিলছে ১০০ টাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন শহরেও কমেছে চিকিনের দাম। এক কম দামে মুরগির মাংস পেয়ে খুশি চেকনপ্রেমীরা। রবিবার ঝোল, রোস্ট , কাবাব বিভিন্ন ভাবে চিকেন খাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যদিও এসবের মধ্যে সুর কাটছে পেঁয়াজের দাম।
বাজারে চিকেন সস্তা হলেও পেঁয়াজের দামে আগুন। দাম বেড়েছে দ্বিগুনের বেশি। কলকাতার বাজারগুলিতে রবিবার পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। পাইকারি বাজারগুলিত একটু কম। শিয়ালদার কোলে মার্কেট-সহ অন্যান্য পাইকারি বাজারগুলিতে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা প্রতি কেজি। উৎপাদন কম, তাতেই কমেছে জোগান। আর সে কারণেই হু হু করে চড়ছে পেঁয়াজের দাম। এমনটাই দাবি বিক্রেতাদের। এই আবহে পেঁয়াজ ছাড়া সস্তার চিকেন দিয়ে রবিবাসরীয় ভোজ সারার কথা ভাবছেন অনেকেই।