Profitable Business Ideas: করোনা মহামারিতে কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মহামারী-পরবর্তি পরিস্থিতিতে আয় কমেছে অনেকেরই। পরিস্থিতির চাপে অনেকেই জীবিকা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও মাত্র ১৫,০০০-২০,০০০ টাকার পুঁজি নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করা যায়। যে ব্যবসার কথা বলছি, তাতে মুনাফার পরিমাণও অনেকটাই!
মাশরুমের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এর চাষের দিকে চাষীদের ঝোঁক দ্রুত বাড়ছে। মাশরুম খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। এ কারণে এটি হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। এর উপকারিতা জানার পর, বাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ডের চাষিরা মাশরুম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, সাফল্য পাচ্ছেন।
মাশরুম চাষের খরচ, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো
অনেকেই এখন মাশরুম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। মাশরুম চাষে চড়া মুনাফার সুযোগ যথেষ্টই রয়েছে। এই ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মোটামুটি ১৫,০০০-২০,০০০ টাকার বিনিয়োগই যথেষ্ট! মাশরুম চাষের জন্য প্রয়োজন একটি ৩০ থেকে ৪০ গজের জায়গা, যেখানে চাষের মাটি আর বীজের মিশ্রণ রাখতে হবে। বাজারেও সহজেই এই মিশ্রণ কিনতে পাওয়া যায়। মাশরুম চাষের জন্য খোলা জমির প্রয়োজন নেই, ঘরের ছায়ায় রাখলেই চলবে।
মাশরুম চাষে কত আয়?
ঘরের ছায়ায় ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই মাশরুম বড় হতে শুরু করে। মোটামুটি এক মাসের পর থেকেই চাষের মাশরুম বাজারে বা অনলাইনে গিয়েও বিক্রি করা যেতে পারে। মোটামুটি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে মাশরুম বিক্রি হয়। মাশরুম চাষ করে অনায়ানেই মাসে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে। অর্থাৎ, বিনিয়োগের টাকা মোটামুটি এক মাসের মধ্যেই উঠে আসবে।
মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ কোথায়-কীভাবে?
অনলাইনেই এই ধরনের কৃষিকাজ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ মূলক অসংখ্য ভিডিও রয়েছে। তবে চাইলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও কৃষি সহায়ক পঠনপাঠনে এই সব প্রশিক্ষণ বা শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।