Pulsar 220F 2025 এল ৪টি নতুন কালারে! কোনটি নেবেন? দাম কত?

Pulsar 220F New Colours 2025: মানুষ এমন জিনিস খুব কম সৃষ্টি করেছে, যা ‘পুরনো’ হয়নি। যে কোনও 'ডিজাইনে'র সবচেয়ে বড় সাফল্য তার অমরত্বে। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই সেই সৃষ্টির সাফল্য। সবসময় যে সেই সৃষ্টি জটিল হতে হবে, তেমনটাও কিন্তু নয়।

Advertisement
Pulsar 220F 2025 এল ৪টি নতুন কালারে! কোনটি নেবেন? দাম কত?Pulsar 220F 2025 এর বাকি রঙগুলি দেখতে নিচে স্ক্রল করুন।
হাইলাইটস
  • ২০০৭ সালে যখন পালসার ২২০এফ রাস্তায় নামে, তখন যুগের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল।
  • Pulsar 220F বাজাজের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম।
  • এখনও Pulsar 220F বাজাজের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম।

Pulsar 220F New Colours 2025: মানুষ এমন জিনিস খুব কম সৃষ্টি করেছে, যা ‘পুরনো’ হয়নি। যে কোনও 'ডিজাইনে'র সাফল্য তার অমরত্বে। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই সেই সৃষ্টির মাহাত্ম্য। সবসময় যে সেই সৃষ্টি জটিল হতে হবে, তেমনটাও কিন্তু নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সরল অতি সাধারণ কিছুই সময়ের পরীক্ষায় পাশ করে টাইমলেস হয়ে ওঠে। যেমন Levi’s 501 জিনস, ফিট, স্টাইলের মেঘবৃষ্টি পেরিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সমান ট্রেন্ডি। Cartier Tank ঘড়ি; শতাব্দী পেরিয়েও তার স্কোয়ার ডায়াল একই রকমের এলিগ্যান্ট। Royal Enfield Bullet ও ঠিক তাই। এত বছর পরও সমান জনপ্রিয় তার টাইমলেস সিমপ্লিসিটি। 

২০০৭ সালে যখন পালসার ২২০এফ রাস্তায় নামে, তখন যুগের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। ফুল ফেয়ারিং, প্রজেক্টর হেডল্যাম্প, মাসকুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, সব মিলিয়ে তখনকার ১৫০-১৮০ সিসি বাইকের ভিড়ে আলাদা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আজ ২০২৫ সালেও সেই ডিজাইনটা বেমানান লাগে না। এ যেন ‘ahead of its time’ থেকে ‘timeless’ এ রূপান্তর।

স্কুলের শেষ দিনগুলো, বোর্ড পরীক্ষার টেনশন, প্রথম প্রেমের বুক দুরদুর; এই সব স্মৃতিরই যেন সাক্ষী পালসার ২২০। পাড়ার দাদার পালসার ২২০ ই অনেকের প্রথম স্পোর্টস বাইক দর্শন। মধ্যবিত্ত জীবনে বড় স্বপ্ন দেখা, পার্টটাইম বাইকার হওয়ার সাহস জোগানো। এই বাইকটাই শিখিয়েছে, কীভাবে মেশিনকে ভালবাসতে হয়।

লাল কালো। ক্লাসিক পালসার টু টোয়েন্টি।
লাল কালো। ক্লাসিক পালসার টু টোয়েন্টি।
নতুন গ্রিন কালার। ভাল লাগল?
নতুন গ্রিন কালার। ভাল লাগল?

 

বাজাজ মনে হয় সেটা খুব ভাল করেই জানে। তাই আপডেটে রঙই বদলায় বারবার। এবারও তাই। ব্ল্যাকের সঙ্গে সফট গোল্ড অ্যাকসেন্ট, আবার ব্ল্যাক বেসে অরেঞ্জ রেড ও সবুজ। রুচিশীল। সেফ।

ব্রোঞ্জের সঙ্গে ব্ল্যাক(ডানদিকে)।
ব্ল্যাকের উপর ব্রোঞ্জ হাইলাইট

 

LED ইন্ডিকেটর এসেছে, ব্লুটুথ সহ LCD ড্যাশ রয়েছে। ইঞ্জিন এখনও সেই পরিচিত ২২০ সিসি। ২০.৪ hp আর ১৮.৫ Nm টর্ক। অপরিবর্তিত।

বয়স শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। এখনও Pulsar 220F বাজাজের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম। দাম ১.২৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। হয়তো আজ বাজারে আরও পাওয়ারফুল, আরও আধুনিক বাইক আছে। কিন্তু আবেগের দাঁড়িপাল্লায় যুক্তির বাটখাড়া দিয়ে মাপা যায় না। পালসার ২২০এফ শুধু বাইক নয়। পালসার মানে স্মৃতি, স্বপ্ন আর সময়ের সঙ্গে ছুটে চলা এক অনুভূতির নাম।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement