রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) আবারও জনগণকে চমকে দিতে পারে। বলা হচ্ছে, আগামী মাসে মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) বৈঠকে সুদের হার (Interest Rates) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের উপরে রয়েছে। ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ সহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও রেপো রেট (Repo Rate) বাড়াতে পারে। মনিটারি পলিসি কমিটির প্রথম বৈঠকটি ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং ৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এপ্রিলের ওই বৈঠকে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার এবং উন্নত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, বিশেষ করে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গৃহীত পদক্ষেপ বিবেচনা করবে কমিটি।
আরও পড়ুন: WB Ration Special Package For Ramadan: রমজান মাসে রেশনে মিলবে চিনি-ছোলা-ময়দাও, আপনি পাবেন? জানুন
সুদের হার গত বছরের মে থেকে ক্রমাগত বেড়েছে
এখনও পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ২.৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০২২ সালে এটি টানা পাঁচবার রেপো রেট বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এর প্রভাবও দৃশ্যমান ছিল এবং মূল্যস্ফীতির হার কমেও। কিন্তু ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আবারও রেপো রেট বাড়ায়।
ইএমআই বাড়বে
যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবারও রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে দেয়। তাহলে এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াতে পারে। রেপো রেট বৃদ্ধির কারণে হোম লোন, কার লোন এবং ব্যক্তিগত ঋণ সহ সমস্ত ধরণের ঋণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে এবং আরও বেশি ইএমআই দিতে হবে। রেপো রেট সরাসরি ব্যাঙ্ক ঋণকে প্রভাবিত করে। যখন এটি কমে, তখন ঋণ সস্তা হয়। এর প্রভাব পড়ে হোম লোন, অটো লোন, পার্সোনাল লোনে।
রেপো রেট কী?
রেপো রেট হল সেই হার যে হারে আরবিআই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে অর্থ ঋণ দেয়। যেখানে রিভার্স রেপো রেট হল যেখানে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে অতিরিক্ত তহবিল জমা করে এবং বিনিময়ে সুদ পায়।