Bangla Awas Yojana: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ফের দেওয়া শুরু রাজ্যের, কারা-কীভাবে পাবেন?

এদিন পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত বাংলা আবাস প্রকল্পের টাকা গত ডিসেম্বর প্রথমবার দেওয়া হয়। নবান্ন থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪২ জনের হাতে অনুমোদনপত্র তুলে দেন তিনি।

Advertisement
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ফের দেওয়া শুরু রাজ্যের, কারা-কীভাবে পাবেন? দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এদিন ডাবগ্রামের ভিডিয়োকন গ্রাউন্ডে আয়োজিত  সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে অংশ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দাদের হাতে নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেওয়া হয়।  পাশাপাশি এদিন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাচ্ছেন।  মঙ্গলবার দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কয়েকজন উপভোক্তার হাতে বাংলার বাড়ি তৈরির টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  প্রসঙ্গত বাংলা আবাস প্রকল্পের টাকা গত ডিসেম্বর প্রথমবার দেওয়া হয়। নবান্ন থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪২ জনের হাতে অনুমোদনপত্র তুলে দেন তিনি। বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পে রাজ্যের মোট ১২ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।  বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মে মাসেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে বলে আগেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো  দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এদিন দেওয়া হল। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আবাসে ১ নম্বর থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছর ধরে কেন্দ্র টাকা দেয়নি, বাংলার গরিব মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই আমরা নিজেরাই ওই বাড়ি তৈরি করে দেব বলেছিলাম। বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে। পরের বছর মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেব, তারপরও কেউ বাকি থাকলে তাঁরও বাড়ি আমরা করে দেব।'

ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ির প্রায় ৪৭ মানুষের পাকা বাড়ি করে দিয়েছে রাজ্য। এই পর্যায়ে ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হল। বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তার তালিকা চূড়ান্ত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে আসছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে দাবি, কেন্দ্রের কাছ টাকা না পেয়ে বাংলার দরিদ্র মানুষদের স্বার্থে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে। তবে মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তা এই সুবিধা পাবেন। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার এই ১২ লক্ষ উপভোক্তা বাকি টাকা পাচ্ছেন। এর জন্য ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর। বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে।

Advertisement

কীভাবে এই টাকা মিলবে? 
রাজ্যের অর্থ দফতর জানিয়েছে, এই টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে পরিবার পিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।  বাংলার আবাস যোজনার টাকা নিয়ে যাতে দুর্নীতি না হয়, তার জন‍্য বিশেষ ক‍্যাম্প তৈরি করেছে রাজ্য। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বিশেষ ক‍্যাম্প করে দফায় দফায় আবেদনকারী উপভোক্তাদের পরিচ‍য় সহ নথি যাচাই  করে প্রশাসন। পরে ক‍্যাম্প থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললে তবেই উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটির জন‍্য বিশেষ পোর্টাল খোলা হয়েছে। এমনকী, ক‍্যাম্পে উপভোক্তার নাম-পরিচয়-ব্যাঙ্কের তথ‍্য যাচাই করা হচ্ছে  আধারের সংযুক্তির মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, আধারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইলে ওটিপি গেলে তার পরেই চূড়ান্ত হবে উপভোক্তার নামের তালিকা।


 

POST A COMMENT
Advertisement