scorecardresearch
 

প্লাস্টিক বোতলের জল নিষিদ্ধ ঘোষণা সিকিমের, নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা

এবার থেকে এ রাজ্যে সমস্ত রকম প্লাস্টিক বোতলের জল নিষিদ্ধ করা হল। ১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে। পর্যটকদের জন্যও বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা। না জেনে ভুল করে বোতল নিয়ে ঢুকলে, কপালে দুঃখ আছে। এখন থেকে সাবধান হয়ে যান।

Advertisement
সিকিম সিকিম
হাইলাইটস
  • ১ জানুয়ারি থেকে প্লাস্টিক বোতলের জল নিষিদ্ধ
  • বিকল্প বন্দোবস্ত করবে সিকিম সরকারই
  • নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা, কারাবাসের আশঙ্কা

বড় সিদ্ধান্ত নিল সিকিম। বাণিজ্যিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সে রাজ্যে সমস্ত রকম প্লাস্টিকে প্যাকেজড্ ড্রিংকিং ওয়াটার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তাঁরা। ফলে এখন থেকে আর সে রাজ্যে বিশেষ করে পর্যটকরা প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার নিয়ে সে রাজ্যে প্রবেশ করলে এবং ধরা পড়লে মোটা জরিমানা এমনকী কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে।

২০২২ এর ১ জানুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি

সিকিমে গোটা রাজ্যে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্যাকেজযুক্ত মিনারেল ওয়াটার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভ্রমণকারীদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, এবং কোনও প্যাকেজযুক্ত মিনারেল ওয়াটার বোতল নিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করবেন না। সিকিম সরকার পরিবেশকে সুস্থ করতে এবং তার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে।

বিকল্প ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকারই

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, পিএস গোলে তামাং ঘোষণা করেন , "আমাদের রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে ধন্য যা তাজা এবং ভাল মানের পানীয় জলের সম্ভার।" ফলে বিকল্প ব্যবস্থাতে কোনও অসুবিধা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সিকিম রাজ্য প্যাকেটজাত পানীয় জলের বোতলগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে। এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হবে।

ইতিমধ্যেই আংশিক কার্যকর হয়েছে নিয়ম

রাজ্য সরকার এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে এবং এমন ব্যবস্থা করছে যাতে বাইরে থেকে প্যাকেজযুক্ত পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ করা যায়। সিকিম ইতিমধ্যে কিছু অংশে প্যাকেটজাত জলের বোতল নিষিদ্ধ করেছে।যেমন উত্তর সিকিমের লাচেন, যা একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী তামাং -এর মতে, রাজ্যের প্রাকৃতিক জলের সম্পদ রয়েছে এবং এর প্রয়োজনীয়তা রাজ্যের মধ্যে থেকেই পূরণ করা যায়। তাই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিতে হবে।

সিকিম এমনিতেই একটি জৈব রাজ্য

সিকিম অবশ্য আগে থেকেই ঘোষিত একটি জৈব রাজ্য। অতএব, এর সমস্ত কৃষিজমি প্রত্যয়িত জৈব। এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে যখন রাজ্য রাসায়নিক সার ব্যবহার বন্ধ করে দেয় এবং রাসায়নিক কীটনাশক বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।

Advertisement

উচিৎ সিদ্ধান্ত, বলছে পরিবেশপ্রেমীরা

তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। শিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধা ভোগ করতে পারছে সিকিম বলে দাবি পরিবেশ সংগঠনের একটা বড় অংশের। দেশের সব রাজ্যেই প্লাস্টিকজাত সব রকম পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

শিলিগুড়ি একবার এমন উদ্যোগ নিয়েছিল

আমরা পারিনি। কোনও রাজ্যই পারেনি। শিলিগুড়ি একবার পেরেছিল। কয়েক বছর শিলিগুড়িতে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ কেনা-বেচা ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস পুরবোর্ডের আমলে। পরে বাম হয়ে তৃণমূলের প্রশাসক বসার পরেও সেই রামরাজ্য আর ফেরেনি। আপাতত শিলিগুড়ি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের চারণভূমি হয়ে পড়েছে। তবে সিকিম সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

Advertisement