Sikkim Emergency Helpline For Tourists: হিমালয়ের কোলে অবস্থিত সিকিম পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। কিন্তু সৌন্দর্যের আড়ালেও রয়েছে পাহাড়ি রাজ্যের কিছু বাস্তব সমস্যা। বিশেষ করে বর্ষাকালে ধস ও জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়া সিকিমবাসী ও পর্যটকদের কাছে এক বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
সম্প্রতি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বারবার ধস নামায় রাজধানী গ্যাংটক ও অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বিপদে পড়লে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তা আগেভাগে জেনে রাখা জরুরি। কারণ পাহাড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক সব সময় ঠিকঠাক পাওয়া না-ও যেতে পারে।
সবচেয়ে জরুরি নম্বর
সিকিম রাজ্য প্রশাসন পর্যটকদের ও স্থানীয়দের জন্য একাধিক জরুরি হেল্পলাইন নম্বর চালু রেখেছে। সবচেয়ে আগে মনে রাখতে হবে একটি নাম্বার। ১১২। এই নম্বরে ফোন করলে আপনাকে প্রয়োজনমতো পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা দমকলের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে।
তবে যদি নির্দিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করতে চান, সেক্ষেত্রে আলাদা নম্বরও রয়েছে। পুলিশের জন্য ডায়াল করুন ১০০, দমকল প্রয়োজন হলে ফোন করুন ১০১, আর অ্যাম্বুলেন্সের জন্য রয়েছে ১০২ নম্বর।
হঠাৎ অসুস্থ হলে
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে রাজ্যের হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট চালু করেছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন। দুটি নম্বর রয়েছে এই পরিষেবার জন্য। ৯০০২৪৩৩১৩৫ এবং ৯৭৪৯৩৪১৩৩৪।
বাচ্চাদের জন্য
শুধু তাই নয়। যদি কোনও শিশু বিপদে পড়ে, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করতে হবে। নারী সংক্রান্ত নির্যাতনের ক্ষেত্রে জরুরি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে হবে ১০৯১ নম্বরে।
ছয় জেলার আলাদা জরুরি নম্বর
রাজ্যের ছয়টি জেলার জন্য জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার বা ইওসি রয়েছে। গ্যাংটকের জন্য ০৩৫৯২ ২৮৪৪৪৪, নামচির জন্য ০৩৫৯৫ ২৬৩৭৩৪, পাকইয়ংয়ের জন্য ০৩৫৯২ ২৯১৯৩৬, গেয়ালশিংয়ের জন্য ০৩৫৯৫ ২৫০৮৮৮, সোরেঙের জন্য ৮০১৬৭৪৭২৪৪ এবং মানগানের জন্য ০৩৫৯২ ২৩৪৫৩৮ নম্বরে ফোন করতে পারেন। এই নম্বরগুলিতে ফোন করলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া সম্ভব।
সাম্প্রতিক কালে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হার বেশ বেড়েছে। বিশেষত বর্ষার সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ধস নেমে বহু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধসের ফলে পর্যটকদের মধ্যে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গ্যাংটকে আটকে পড়া পর্যটকদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে হয়েছে একাধিকবার।
সিকিমে যাওয়ার আগে বিশেষ সাবধানতা
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ে ঘুরতে গেলে পরিকল্পনা করে যাওয়া উচিত। আবহাওয়া এবং রাস্তার অবস্থা আগেভাগে জেনে নিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলা উচিত এবং বিপদের সময় যেন কোথায় ফোন করতে হবে তা পর্যটকদের জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
সিকিমে সরকারি পরিষেবা যথেষ্ট সক্রিয়। কিন্তু দুর্গম এলাকায় পৌঁছনো সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় নম্বরগুলি ফোনে সেভ করে রাখাই ভালো। পাহাড়ের রূপ যতটা মোহময়, বিপদও ঠিক ততটাই বাস্তব। সঠিক প্রস্তুতি থাকলে সেই বিপদ অনেকটাই সামলানো সম্ভব।