'আপনার নাম বাদ যেতে পারে,' ভুয়ো ফোন, তারপর লিঙ্ক, জালিয়াতির শিকার বহু ভোটার

SIR ফর্ম ফিলআপের নাম করে সাইবার প্রতারণার বড়সড় ফাঁদ পাতা হচ্ছে। অনেকে ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যাওয়ার আতঙ্কে OTP শেয়ার করে ফেলছেন বা ভুয়ো লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলছেন। কীভাবে সাবধান থাকবেন?

Advertisement
'আপনার নাম বাদ যেতে পারে,' ভুয়ো ফোন, তারপর লিঙ্ক, জালিয়াতির শিকার বহু ভোটারপ্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • SIR ফর্ম ফিলআপের নাম করে সাইবার প্রতারণা
  • ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যাওয়ার আতঙ্কে OTP শেয়ার
  • ভুয়ো লিঙ্কে ক্লিক করে ফেললেই অ্যাকাউন্ট শূন্য

বাংলায় চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ SIR। সাইবার ক্রিমিনালরা এই সুযোগে নতুন কৌশল রপ্ত করেছে। SIR ফর্ম নিয়ে এবার চলছে বড়সড় দুর্নীতি। এতটাই সত্য এবং বিশ্বাসযোগ্য ভাবে এই দুর্নীতির ফাঁদ পাতা হয়েছে, সহজেই ফেঁসে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সরকারি কাজের নামে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভোটারদের থেকে। 

মধ্যপ্রদেশ সরকার SIR ফর্মের নামে জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, SIR ফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কার্যকলাপ চলছে। তা থেকে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। সাইবার অপরাধীরা মানুষকে প্রতারিত করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করছে, তা নিয়েও বিস্তারিত জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। 

কীভাবে চলছে SIR ফর্ম নিয়ে দুর্নীতি?
সাইবার অপরাধীরা ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ বা SMS-এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে টোপ দেওয়া শুরু করেছে। তারা নিজেদের BLO হিসেবে পরিচয় দিয়ে SIR যাচাইকরণ সম্পন্ন হয়নি বলে জানাচ্ছে ভোটারদের। এবার ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যাওয়ার ভয় দেখিয়ে বলা হচ্ছে ফোন নম্বরে যাওয়া OTP দিতে। নথি যাচাইকরণের জন্য ওই OTP খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। যারা নাম কাটার ভয়ে OTP দিয়ে ফেলছেন, কপাল পুড়ছে তাদের। 

এই OTP দুর্নীতির এন্ট্রি পয়েন্ট। কিছু ক্ষেত্রে ভুয়ো লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে ভোটারদের। কাউকে আবার SIR-এর জন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। ওই অ্যাপ বা লিঙ্ক থেকেই SIR ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে বলে টোপ দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই সম্পন্ন করার জন্য তা ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক, এমনটাও বলা হচ্ছে। 

লিঙ্ক বা অ্যাপে ক্লিক করলে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এতে একজন ব্যক্তির নাম SIR থেকে বাদ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার নয়া ফন্দি। 

কী করছে ক্রিমিনালরা?
সাইবার অপরাধীরা OTP হাতে পাওয়ার পর UPI অথবা ব্যাঙ্কিং অ্যাপ রিসেট করে ফেলতে পারে। ভোটারের ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস পেয়ে যেতে পারে। ফোনের ডেটাও কপ করে নিতে পারে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে সহজেই। 

Advertisement

কী বলছে নির্বাচন কমিশন?
> OTP চায় না
> UPI বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চায় না
> APK বা অ্যাপ ডাউনলোড করে না
> ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দেয় না
> এমন ফোন পেলে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কমিশন 
> ফোন কেটে দিন, OTP বা পাসওয়ার্ড বা পিন কাউকে দেবেন না
> অজানা লিঙ্ক বা অ্যাপ না খোলার পরামর্শ 
> BLO নম্বর ফর্মের উপরেই দেওয়া থাকে, প্রয়োজনে তাকে ফোন করতে হবে
> অবিলম্বে ব্যাঙ্ককে জানাতে হবে এবং ১৯৩০ সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করতে হবে
 

 

POST A COMMENT
Advertisement