scorecardresearch
 

ঘরে বসেই 'অ্যাপ'-এ খাঁটি তেল-ঘি-মধু, নিয়ে পৌঁছবে দুয়ারে সরকার

এখন দুয়ারে শাক-সবজি-ঘি-মধু সহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর গৃহস্থের হেঁশেলে আগুন নেভাতে উদ্যোগী। আসছে অ্যাপ।

Advertisement
সুফল বাংলা এখন দুয়ারে সরকারে সুফল বাংলা এখন দুয়ারে সরকারে
হাইলাইটস
  • ঘরে বসেই মিলবে নানা সামগ্রী
  • কৃষক ও গ্রাহকদের সুবিধা করতেই এই ব্যবস্থা
  • অ্যাপ নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার

সরষের তেলের ঝাঁঝে চোখের জল চলে আসছে দেশবাসীর। তবে তুলনামূলক সস্তায় ঘরে বসেই পেতে পারেন খাঁটি সরষের তেল। তাও খোদ এ বঙ্গের। সঙ্গে মধু-ঘি, শাকসবজি, চাল-ডাল এমনকী মশলাপাতিও।

সৌজন্য রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর

বাজারঘুরে রোদে ঘাম ঝরানো দরকার নেই। কিংবা শপিং মলের ঠাণ্ডা হাওয়ায় শপিং করতে গিয়ে বাড়তি রেস্ত খরচেরও দরকার হবে না। ঘরে বসেই মিলবে সমস্ত কিছুই। তাও আবার নিশ্চিন্তে খাঁটি মানে, ন্যায্য দামে। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের কৃষি বিপনন দপ্তর।

দুয়ারে পৌঁছবে শাক-সব্জি-মশলা-আনাজ

কৃষি বিপনন দপ্তরের সুফল বাংলা স্টল বিভিন্ন জায়গায় সাড়া ফেলেছিল আগেই। এবার এই সুফল বাংলার মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বাংলার মাটির বিভিন্ন রকম শাক-সবজি, মশলাপাতি, ঘি-মধু, আনাজ। এ খবর জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।

অ্যাপ-এর মাধ্যমেই বুকিং

এ সমস্ত কিছু ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে যেমন তথ্য মিলবে, তেমনই পাশাপাশি পৃথক 'অ্যাপ'-ও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, সুফল বাংলার স্টলেও এই একই জিনিস পাওয়া যাবে। বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাড়তি কোনও রকম চার্জ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুফল বাংলা এখন দুয়ারে বাংলা

কৃষি বিপনন দপ্তর এর নিজস্ব জায়গা কিংবা জনপ্রিয় জায়গায়, সুফল বাংলার স্টল খোলার জন্য জমি দেখতে বলা হয়েছে। এটিকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মতো করে তৈরি করা হবে। ইন্সটল করে বর্তমানে রাজ্যের ৩২১ টি সুফল বাংলা স্টল রয়েছে। এর ৯০ শতাংশই রয়েছে কলকাতা এবং কলকাতার আশপাশের জেলাগুলোতে।

উত্তরবঙ্গে স্টল ও স্টক বাড়ানো হবে

উত্তরবঙ্গে কয়েকটি থাকলেও সেগুলো তেমনভাবে কার্যকরী নয় এবং সমস্ত রকম পণ্য সেখানে সব সময় পাওয়া যায় না। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িতে একটি করে সুফল বাংলা স্টল রয়েছে। কিন্তু তা সমস্ত এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে পারে না। শিলিগুড়িতে অন্তত আরও দুটি, এ ছাড়া অন্যান্য জেলাতেও কয়েকটি স্টল চালু করা হবে।

Advertisement

কৃষক ও গ্রাহকদের লাভ

মন্ত্রী জানান মানুষের দরজায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। রাজ্য সরকার এর জন্য বাড়তি কোনও লাভ করবে না। কৃষক নিজস্ব লাভে শুধুমাত্র জিনিসগুলি বেচবেন। তা যাতে ন্যায্য দামে পৌঁছে দিতে পারেন, সেই বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবে, তেমনই ন্যায্য দামে জিনিসটি কিনতে পারবে তারা।

 

Advertisement