পুজোয় দার্জিলিঙে টয়ট্রেন চলবে? এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে...Toy Train Darjeeling Stopped Running DHR: পুজোর মধ্যে শিলিগুড়ি বা এনজেপি থেকে পাহাড়ে টয়ট্রেনের সুখযাত্রা সম্ভবত এবার আর সম্ভব নয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু করেছেন, তাঁরা খোঁজ রাখুন, কারণ সম্ভবত লাইনের মেরামতির কাজ পুজোর আগে শেষ করতে পারবে না রেল। এদিকে তাঁরা পুজোর চারদিনের বুকিং ওপেন করে দিয়েছে। যদি শেষমেষ চালানো সম্ভব না হয়, তাহলে বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু যাঁরা টয়ট্রেনে চেপে দার্জিলিংয়ের যাবেন বলে ঠিক করেছেন, তাঁরা পড়বেন বিপাকে। রেলের তরফে এ নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি কারও কাছ থেকেই।
যদিও পুজোর সময় একাধিক চার্টার্ড বুকিং করা রয়েছে। প্রচুর পর্যটক টয়ট্রেন নিয়ে খোঁজ-খবর শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা (Toy Train Service) চালু করা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেলকর্তারা। এই পরিস্থিতিতে ফাঁপরে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা পর্যটকদের কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না। পারার কথাও নয়। অথচ তাঁদেরই হ্য়াপা সামলাতে হচ্ছে। অনেকেই রাগ করে বুকিংই বাতিল করে দিচ্ছেন। যাঁরা বাতিল করছেন না, তাঁদের জন্য জয় রাইডের বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালের বক্তব্য, ‘ট্রেন ভাড়া নিতে আমাদের কাছে খোঁজ করা হচ্ছে। একটা বড় অংশের পর্যটক আসেন টয়ট্রেনের টানেই। লম্বা রাইড চালানো সম্ভব না হলে জয় রাইড চালু করা হোক।’ ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস মৈত্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিকিমে পরিস্থিতি ভাল নয়, মানুষ এখন দার্জিলিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। দার্জিলিংয়ের খোঁজ করলেই আগে টয়ট্রেনের প্রসঙ্গ ওঠে। এখন এমন অবস্থা টয়ট্রেনের সঙ্গে হোটেল বুকিংও বাতিল হয়ে যাবে।
পুজোর মধ্যে লাইন মেরামতি করে ট্রেন চালানো সহজ নয় বলে জানাচ্ছেন ঠিকা সংস্থার কর্মীরাই। শুক্রবার পরিদর্শনের পর রেলকর্তারাও এমন মনে করছেন। তাই ব্রেক জার্নির কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন পরিষেবা নিয়ে দোলাচল চলছে। মাঝে একবার বিভিন্ন জায়গায় লাইনে ধসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ধস সরিয়ে ট্রেন চালু করতেই টানা বৃষ্টির জেরে পাগলাঝোরার কাছে বড় ধরনের ধস নামে। রাস্তার একাংশ ধসে যায়।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তার কাজ শেষ না করা পর্যন্ত ট্রেন চালানো একটু কঠিন বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। কারণ রাস্তা সংস্কারের পর একাধিক জায়গায় রেললাইনের মেরামতির কাজ করতে হবে। লাইন মেরামত না করলে ট্রেন চালানো যাবে না। আর এখন লাইন মেরামত করলেও লাভ হবে না। কারণ রাস্তার কাজ করতে গিয়ে কোনও কারণে লাইনের নীচ থেকে মাটি ধসে গেলে আবারও ক্ষতি হতে পারে। তাই রাস্তার কাজ শেষ হলেই লাইনের কাজে হাত দিতে চাইছে ডিএইচআর।