শিল্প শ্রমিকদের জন্য ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI-IW) ব্যবহার করে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে DA নির্ধারণ করা হয়। সূত্রটি CPI-IW তথ্যের ১২ মাসের গড় ব্যবহার করে।অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে অষ্টম পে কমিশনের টার্ম অফ রেফারেন্সে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা অধীর আগ্রহে রয়েছেন, কখন এই নয়া বেতন কমিশন লাগু হবে। মাইনে ও পেনশন বেড়ে যাবে।
১৮ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতেই হবে
অষ্টম পে কমিশনের এখন শুধু বাকি রিপোর্ট পেশ করা। তারপর তা লাগু হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হল, বাকি প্রক্রিয়াটি শেষ হতে কতদিন সময় লাগবে? কারণ ১৮ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতেই হবে। তারপর তা অনুমোদনের জন্য যাবে সরকারের কাছে। যদি লাগু হতে দেরি হয়, তাহলে কি ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পেতে থাকবেন কর্মীরা?
ইকোনমিক টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অতীতের প্রক্রিয়াগুলি দেখলে, পে কমিশন গঠন করার প্রক্রিয়ায় শুরুর পরে তা লাগু করতে মোটামুটি ১ থেকে ২ বছর লেগে যেতে পারে।
মন্ত্রিসভায় ফাইনাল অনুমোদনের জন্য
অষ্টম পে কমিশনের রিপোর্ট পেশ করার জন্য ১৮ মাসের সময়সীমা রয়েছে। রিপোর্ট পেশ হয়ে গেলে তা একবার রিভিউ করা হবে। তারপর পাঠানো হবে মন্ত্রিসভায় ফাইনাল অনুমোদনের জন্য। এই প্রক্রিয়া প্রায় একমাস সময় লেগে যায়।
লাগু হতে ২ থেকে ৩ বছর লেগে যায়
আবার অষ্টম পে কমিশন যদি আরেকটু সময়চায়, তাহলে দু বছরও লেগে যেতে পারে। এর আগেও দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রতি ১০ বছর অন্তর পে কমিশন বসে, এবং তা লাগু হতে ২ থেকে ৩ বছর লেগে যায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি পে কমিশনের রিপোর্ট ডেডলাইনের মধ্যে সাবমিট না করতে পারে, সে ক্ষেত্রে কমিশন কেন্দ্রের কাছে বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন জানাতে পারে। দেরি হলে সরকার কর্মীদের বেসিক স্যালারি বাড়িয়ে অন্তর্বর্তী সুবিধা দিয়ে থাকে। পঞ্চম বেতন কমিশনের সময় এমনটাই ঘটেছিল।