নিজস্ব চিত্র শীতের ছুটিতে ট্যুর প্ল্যান করে রেখেছেন? আর তার জন্য করতে হবে লম্বা বাস জার্নি। পাহাড়ি আঁকা বাঁকা রাস্তায় বমি বমি ভাব কিংবা গা গোলানোর সমস্যা থাকলে বাস জার্নিতে অনেকেরই অনীহা তৈরি হয়। আবার দূরপাল্লার বাসে প্রবল ঝাঁকুনিতেও অস্বস্তি হয় অনেকের। এক্ষেত্রে সকলেই জানতে চান, বাসের ঠিক কোন আসনে বসলে ঝাঁকুনি এড়ানো সম্ভব।
বাসের মাঝের সিটে বসা সবচেয়ে নিরাপদ কারণ সামনের কিংবা পিছনের আসন দুর্ঘটনার সময়ে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাস যদি অন্য কোনও গাড়ি বা যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে তবে মাঝের আসনগুলি অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত থাকে। তবে জানালার ধারে না বসাই মঙ্গল। জানালার ধারের আসনে নানারকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেকে আবার প্রাকৃতিক দৃশ্য মোবাইল বন্দি করার জন্য জানলার ধারে বসতে চান। গা গোলানোর সমস্যা থাকলেও জানলার সিট বুক করেন অনেকে। তবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে উইন্ডো সিটে না বসাই মঙ্গল বলে মনে করছে ওয়াকিবহালর মহল।
আবার বাস চালকের একদম পিছনের সিটিও নিরাপদ বলে মনে করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাস দুর্ঘটনার শিকার হলেও চালক বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন। তাই চালকের পিছনের সিট অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
চাকার উপরের সিট সর্বদা এড়িয়ে চলাই ভাল। এটিতে বসলে এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় ঝাঁকুনির প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। বাসে গুঁতো খেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার কোনও কারণে চাকা ফাটলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিপদ এড়ানো যায় না।
বাসের পিছনের আসনে বসা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়ির বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই পিছনের আসনে থাকা যাত্রীদের ক্ষতি করে। তাই ব্যাক সিট তেমন নিরাপদ নয়। বাম্পারের উপর দিয়ে গাড়ি চললে কিংবা রাস্তা খারাপ থাকলে সবচেয়ে বেশি ঝাঁকুনির শিকার হন এই আসনের যাত্রীরাই।
সেক্ষেত্রে দূরপাল্লার বাসে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে টিকিট কাটার সময়ে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বরের মধ্যে আসন বুক করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ মাঝের দিকের আসনগুলি রয়েছে, সেগুলিতে বসা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। এতে দুর্ঘটনা ঘটলেও আহত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।