কোন কাজে পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করা অর্থ কখন আপনার ভাগ্য বদলে দেবে কেউ বলতে পারে না। এমনটাই ঘটল আমেরিকার (America) মিয়ামির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ১০ সেকেন্ডের একটি আর্টিস্টিক ভিডিও বানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ভিডিওটি বানাতে তাঁর খরচ হয়েছিল ৬৭ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৯.১৩ লক্ষ টাকা। আর সেই ভিডিওটি তিনি বিক্রি করলেন ৬.৬ মিনিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪৮.৪২ কোটি টাকা। (ছবি সূত্র -বিপল)
ভিডিওটি তৈরি করেন ডিজিটাল ভিডিও আর্টিস্ট বিপল। তাঁর আসল নাম অবশ্য মাইক উইঙ্গেলমেন। ব্ল্যাকচেন নামক সংস্থা প্রমাণ করেছে যে এই ১০ সেকেন্ডের ভিডিওটি বিপলই তৈরি করেছেন। এই ধরনের ভিডিওকে বলা হয় নন ফঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি (NFT)। করোনাকালে এই ধরনে এনএফটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
এনএফটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই থাকে। আর যদি কারও এই ভিডিও পছন্দ হয় তবে পাওয়া যায় কোটি কোটি টাকা। আর ব্ল্যাকচেন প্রযুক্তির মাধ্যমে এর প্রতিরূপ তৈরি করা যায় না।
আর্ট সংগ্রাহক পাবলো রডরিগেজ ফ্রেইল বলেন, বিপল কাজ দেখে আমি মুগ্ধ। তাই প্রথমে আমিই ওটি কিনেনি।
A 10-second video clip sold for $6.6 million: A new type of digital asset known as a non-fungible token (NFT) has exploded in popularity as enthusiasts and investors scramble to spend money on items that only exist online https://t.co/2wrD4iFdkS pic.twitter.com/3St8ERSllo
— Reuters (@Reuters) March 1, 2021
পাবলো বলেন, যিনি বানিয়েছেন তাঁর কাছে এটি অত্যন্ত দামি। এনএফটি ইন্টারনেটে পরিবর্তন করা যায় না। এক্ষেত্রে ডিজিটাল আর্ট ওয়ার্ক, স্পোর্টস কার্ড, ভার্চুয়াল এনভায়রনমেন্টের মতো বিষয়গুলি এনএফটির আওতায় আসে।
পাবলো যে আর্টিস্টিক ভিডিওটি বিক্রি করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তাঁর শরীরে রয়েছে অনেক ট্যাটু। লেখা আছে স্লোগান। তার ওপরে রয়েছে ট্যুইটারের পাখি। এনএফটির জন্য মার্কেটপ্লেস ওপেনসি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৬.৩ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৬৩৩ কোটি কোটি টাকারও বেশি বিক্রি দেখা গিয়েছে। গতবছরে এই পরিমান ছিল ১.৫ মিলিয়ান ডলার।
ওপেনসির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্স আটাল্লাহ জানান, যদি কেউ কম্পিউটারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ব্যয় করেন তবে তিনিও ডিজিটাল বিশ্বে এই জাতীয় শিল্প তৈরি করতে পারবেন। তবে বিনিয়োগকারীদের সতর্কও করেছেন তিনি।