ভারতীয় বায়ুসেনার ১৭ গ্লোবমাস্টারে দেশে ফিরেছেন ১৬৮ জন। রবিবার ভারতে ফিরে এসেছেন তাঁরা। বিমান এসেছে হিডন বায়ুসনাঘাঁটিতে।
এঁদের মধ্যে ২০ জনের বেশি আফগান নাগরিক। এর পাশাপাশি আরও ২টি বিমান দিল্লি এসেছে। একদিনে প্রায় ৪০০ জন মানুষ আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন। আফগানিস্তান থেকে সোমবার ৪৬ আফগান হিন্দু আর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁরা সঙ্গে গুরু গ্রন্থ সাহিব সঙ্গে করে এনেছেন।
কাবুল বিমানবন্দরের এক ছবি দেখা গিয়েছে যেখানে ৩ জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ গুরু গ্রন্থ সাহিব নিজেদের মাথায় করে আনছেন।
কাবুলের শিখ গুরুদ্বারে এখন সব চুপ। দিন কয়েক আগে তালিবানের প্রতিনিধি সেখানে বৈঠক করেছিল। এবং আশ্বাস দিয়েছিন, কারও কিছু হবে না।
এবার আমেরিকাকে সরাসরি হুমকি দিল তালিবান। সেনা সরানো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। সেনা সরাতে দেরি করলে ফল ভুগতে হবে বলে জানিয়েছেন তালিবান।
সেনা সরেছে
আফগানিস্তানে নিজেদের দখলে করে নিয়েছে তালিবান। সেখানকার মানুষ প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন। সে দেশে থেকে আমেরিকা-সহ ন্যাটোর বেশিরভাগ সেনা সরে গিয়েছে। তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
নিরাপত্তার জন্য
তবে এখনও কিছু সেনা রয়ে গিয়েছে। আর তা হল কাবুল বিমানবন্দরে। আমেরিকার মানুষকে নিরাপদে নিজেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁরা সেখানে রয়েছেন।
তালিবানি বিবৃতি
তালিবান নেতা সোহেল শাহিন এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সে বলেছে, আমেরিকা নিজেদের সেনা পেরানোর কাজে দেরি করলে তার ফল ভুগতে হবে। ৩১ অগাস্টই তালিবানের তরফ থেকে শেষ দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
কথায় এবং কাজে মিল নেই
একদিকে তারা সবাইকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলছে। আর এর মাঝেই তালিবান হুমকি দিচ্ছে। আবার সব দূতাবাস চালু রাখার কথাও বলেছে তারা। তবে এরই মাঝে আমেরিকার সেনা সরানো নিয়ে চাপ বাড়িয়ে দিল তারা।
নিজেদের ভাবমূর্তি পাল্টানোর চেষ্টা করছে তালিবান। এর আগে বলেছিল, মহিলারা লেখাপড়া করতে পারবেন। দেশের কারও কোনও ক্ষতি করা হবে না। এবার তারা জানাল, আফগানিস্তানের হিন্দু-শিখরা নিরাপদে থাকতে পারবেন।
নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত
২০ বছর পর শাসন ক্ষমতার কাছাকাছি চলে এসেছে তালিবান। আর তখন অনেকের মনে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সেখানকার সংখ্য়ালঘু মানুষদের মনে। ঘটনা হল, সংখ্য়াগুরু মানুষও যে নিরাপদ বোধ করছেন, তেমনটা নয়।
আশ্বাস
সংখ্যালঘুদের মধ্যে রয়েছেন হিন্দ, শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁরা সে দেশ ছেড়ে চলে আসতে চাইছেন। ভারত তাঁদের পাশে রয়েছে। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার বার্তা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এরই মাঝে তালিবানি আশ্বাস।
'আফগানিস্তানে হিন্দু এবং শিখরা একবারে নিরাপদ'
তালিবান এ ব্য়াপারে বেশ জোর দিয়েই বলেছে। তারা দাবি করছে, আফগানিস্তানে হিন্দু এবং শিখরা নিরাপদ। কাবুল গুরুদ্বার কমিটির সঙ্গে দেখা করার পর বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে তারা।
আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, হিন্দু এবং শিখদের কোনও সমস্যা হবে না। তাঁদের পুরো সুরক্ষা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তালিবানরা কাবুল গুরুদ্বার কমিটি বৈঠক করেছে। তার একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কয়েকজন তালিবান নেতাকে দেখা যাচ্ছে।