scorecardresearch
 
Advertisement
ভাইরাল

PHOTOS : বাড়ছে বাংলাদেশের সমুদ্রের জলস্তর, যৌনকর্মী হতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা

বাংলাদেশে
  • 1/8

বাংলাদেশে বাড়ছে সমুদ্রের জল স্তর। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর জেরে অনেক মহিলাকে যৌনকর্মীর পেশা বেছে নিতে হচ্ছে। শুনলে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। তবে এটাই বাস্তব সত্য। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। স্কাই নিউজ নামে এক সংস্থা সেখানে মাস ছ'য়েক কাজ করেছে। সব ছবি: গেটি ইমেজেস

দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলবর্তী
  • 2/8

আর তারপর এই ঘটনা জানা গিয়েছে। তাদের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। সেখানে কী বলা হয়েছে? সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সমুদ্রের জলের স্তর বেড়ে চলেছে। আর এই কারণে সে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মহিলাদের একাংশ বেঁচে থাকার তাগিদে এই পেশায় যাচ্ছেন।

তরুণী
  • 3/8

কারণ তাঁদের আর কোনও উপায় নেই। বাধ্য হয়ে তাঁরা এই কাজে যুক্ত হচ্ছেন। স্কাই নিউজ জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায় যে পতিতা পল্লি রয়েছে, সেখানে মহিলাদের 'তরুণী' বলা হয়। আর তাঁদের ঘর হল 'কাজের জায়গা'। তবে তা মোটেই আরামদায়ক নয়।

Advertisement
রিপোর্টারকে
  • 4/8

সেখানে পৌঁছনো রিপোর্টারকে সেখানকার মহিলারা প্রথমে ভেবেছিলেন বিদেশি কোনও গ্রাহক। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন। আর তারপর তাঁদের ভুল ভাঙে। এরপর সেখানকার মহিলারা জানান, তাঁদের কথা শুনলে চমকে উঠতে হবে। এবং তাই হয়। কী থেকে কী হয়ে গেল, সে কথা শোনাতে শুরু করেন তাঁরা। সমুদ্রের জলের স্তর বাড়ছে, নদীর গ্রাস আর ঝড়জলে তাঁদের পরিবারের জমিজমার প্রচুর ক্ষতি হয়। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। আর তখন তাঁর পরিবারের অর্থের দরকার ছিল। 

বেচে
  • 5/8

তখন এক মহিলা আসেন তাঁর কাছে। আর তাঁকে বলেন, তাঁকে এক জায়গায় নিয়ে যেতে চান। সেখানে এক কাপড়ের কারখানা আছে। সেখানে কাজ দেওয়াতে পারে। তবে তা তো হয়নি। তার বদলে তাঁকে বেচে দেওয়া হয় বানিশান্তার এক পতিতালয়ে।

বানিশান্তা
  • 6/8

বানিশান্তা বাংলাদেশের সবথেকে পুরনো পতিতালয়ের মধ্যে একটি। যার পাশেই রয়েছে মঙ্গলা বন্দরশহর। সেখান মানুষকে ওই পতিতালয় আকর্ষণ বলে জানা গিয়েছে।

পাচার
  • 7/8

ওই পতিতালয়ে কমবেশি ১০০ জন কাজ করেন। অনেকে তরুণীকে এখানে পাচার করে আনা হয়ছে। কারণ জলপবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে তাঁদের পেশা, জীবনধারণ প্রবল অনিশ্চিয় হয়ে উঠেছিল। 

Advertisement
সঙ্কটে
  • 8/8

সেখানে সাতের দশক থেকে রয়েছেন, এমন মহিলাও আছেন। তবে এখন তাঁরা যৌনকর্মীর কাজ করেন না। তবে তাঁদের আর কোনও জায়গায় যাওয়ারও উপায় নেই। এখন বানিশান্তায় তাঁদের বাড়িতে নজর দিয়েছে সমুদ্র! যেখানে তাঁদের বাড়িঘর ছিল, তা নষ্ট হতে চলেছে। সেখানে বেড়ে চলা সমুদ্রের গর্জন আর নিয়মিত বন্যার ফলে সঙ্কটে পতিতালয়টি। সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সামান্য সামান্য ঝড়বৃষ্টিতেও তাঁদের বাড়িতে জল জমে যায়। তাঁরা যা উপার্জন করেন, তা দিয়ে সারাইয়ের কাজ করা খুব মুশকিল। সারাইয়ের কাজ করতে তাঁরা ঋণ নিতে বাধ্য হন।

Advertisement