ইঞ্জেকশনে ভয়। তাই নেবেন না কোভিড টিকা। এখনও পর্যন্ত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেই এই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একদিকে, দেশে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। সেইসঙ্গে চলছে টিকা দেওয়ার কাজ। তবে টিকা অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। দেশে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রোজ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কবে থামবে করোনার দাপট? আর কবেই বা থামবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমিছিল? এমনই হাজার হাজার প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরছে।
উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকিতে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। সেখানে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। মানুষকে করোনার টিকা দিতে। তবে অনেকের ভয় রয়েছে।
আপত্তি জানান তাঁরা। আর ভয়ে সরয়ূ নদীতে ঝাঁপ দেন অনেকে। তা দেখে সরকারি কর্মীদের তো চক্ষু ছানাবড়া। রামনগরের সিসোদা গ্রামের ঘটনা। শনিবার ওই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মানুষ বেজায় ভয় পেয়ে যান। আর জড়ো হন সরয়ূ নদীর তীরে।
কেমন হচ্ছে টিকাকরণের কাজ, তা দেখতে হাজির হয়েছিলেন রামনগরের এসডিএম রাজীব শুক্লা। তখন নদীর পাড়ে থাকা মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে কোনও কাজ হয়নি। তাঁরা টিকা নিতে চাননি।
আর তাই তাঁরা ঝাপ দেন নদীতে। পরে তারা যখ জল থেকে ওঠেন, তখন তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তবে কাজ হয়নি। ১৪ জন রাজি হয়েছেন।
এদিকে, এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ভারত একটা বড়সড় দেশ। এখানে এক এক সময়ে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছবে। দেশের পশ্চিম অঞ্চলে করোনার সংক্রমণের ঘটনা কিছুটা কমেছে। মহারাষ্ট্রে এখন চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে হয়। তিনি জানান, দিল্লি এবং আশপাশের কথা যদি বলি, তা হলে সেখানে সংক্রমণ তুঙ্গে পৌঁছতে আর খানিকটা সময় লাগবে। সম্ভবত এই মাসের মাঝামাঝি তা হবে। পূর্ব ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। রণদীপ গুলেরিয়া জানান, অসম এবং বাংলার মতো রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে।