তিন বাচ্চা ও স্বামীকে নিয়ে নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠন আইসিসের যোগ দিতে ব্রিটেন থেকে হাজির হয়েছিলেন সিরিয়ার ওই মহিলা। এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" অবস্থা। তিনি এখন সিরিয়ার সরকারের কাছে করজোড়ে আবেদন জানাচ্ছেন ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার জন্য। ব্যাপারটি কি একটু ইনভেস্টিগেট করতে হচ্ছে।
ওয়েস্ট লন্ডনে বাসিন্দা নিকোল জ্যাক নামের ওই মহিলা নিজের সাথে নিজের ১২ বছরের মেয়েদের নিয়ে আইএসআইএস-এ শামিল হতে সিরিয়াতে চলে এসেছিলেন। এখন সেখানে লড়াকু দেড় হাজার পরিবারের সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাদের পরিবার ব্রিটিশ জনতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তাভাবনা থেকে বাইরে। ইউকে সরকার যেন তার সেই আর্তি নজরআন্দাজ না করে। প্রকৃতপক্ষে ব্রিটেনের হোম মিনিস্ট্রি বিবিসিকে জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব ব্রিটেনের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা।
জ্যাকের দাবি, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে আইএসআইএস এর শাসনে থাকা সত্বেও তার বা তার পরিবারের তরফ থেকে ব্রিটেনের প্রতি কোনও রকম আশঙ্কা নেই।
২০১৫ পর্যন্ত আইসিস প্রতিবাদীদের গর্দান কাটা সহ নিজেদের এবং উগ্রপন্থী আদব-কায়দার জন্য পরিচিত। তাদের অত্যাচারের মিথ সারা বিশ্বার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।
ইউকের অন্যান্য জিহাদী যুবতীদের বিপরীত-এ হেঁটে যখন তিনি আইসিস-এ শামিল হতে গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে এক বয়স্ক মহিলার দেখা হয়েছিল। তাঁকে আইসিসির ক্রুরতা এবং ভয়ঙ্কর কার্যকলাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানানস আমি আমার জীবনে কখনও তাদের কারও মাথা কাটতে দেখিনি।
অক্টোবর ২০১৫ থেকে ৩ বাচ্চার ওই মা, নিজের স্বামী এবং তিন বাচ্চার সঙ্গে আইসিস-এ যোগ দিতে লন্ডনে নিজের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন। জ্যাক নিজের পরিবারকে বলেছিলেন, যে তিনি এক নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন। এই কারণে তিনি সোমালিয়া যাচ্ছেন। তার স্বামী হোসেন আলি তাকে হুমকি দিয়েছিল, যদি তারা তার সাথে না যায় তাহলে পরিবারকে তারা ছেড়ে দেবেনছ