NOTIFICATIONS
27th Apr
করোনার কারণে আগে থেকেই গোটা বিশ্ব ভীতসন্ত্রস্ত রয়েছে। তার ওপর এক নতুন অতিমারির ঘটনা সামনে এসেছে, যা করোনার মতই ভয়াবহ মারাত্মক বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন।
চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র দাঁড়া বার্ড-ফ্লু অতিমারি গোটা বিশ্বে ভয়ানক আকার ধারণ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহেতু চিকেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাওয়া প্রাণীর মাংস, সে কারণে গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, চিনে H5N6 বার্ড ফ্লু থেকে মানুষের সংক্রমণ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। যা চিন্তার কারণ। এর আগে ফ্লু হলেও তা মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার তেমন কোন ঘটনা ছিল না। কিন্তু চিনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে জানিয়ে সতর্ক করেছেন তাঁরা।
২০১৪ তে বার্ড ফ্লুতে মানুষ সংক্রমণ হওয়ার প্রথম ঘটনা সামনে এসেছিল। এরপর ৪৮ জন H5N6 বার্ড ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছেন। তার মধ্যে বেশির ভাগ মামলাই চিনে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিনের ওয়াংশি এলাকার ঘটনা। যেখানে গত তিন মাসে বহুলোক H5N6 ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
রোগের ভয়াবহতা বিশেষজ্ঞদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক লোক মারা গিয়েছে এবং বাকিরা সকলেই অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গিয়েছেন এবং রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন।
এক প্রবক্তা জানিয়েছেন, প্রভাবের ক্ষেত্র এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ভৌগোলিক নজরদারি চালানো দরকার যাতে রোগের আক্রমণ ভালোভাবে বোঝা যেতে পারে এবং মানুষের জন্য তার কতটা লড়াইয়ের ক্ষমতা এনে দিচ্ছে সেটিও জানা যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত H5N6 ভাইরাস কেবল তাদের মধ্যেই সংক্রমিত হয়েছে, বলে জানা গিয়েছে যাঁরা পোল্ট্রি ফার্ম এর সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই।
পোল্ট্রি ফার্মে দেখাশোনা করেন কিংবা পালন করেন, অথবা পোল্ট্রি ফার্ম থেকে মুরগি আনা-নেওয়া করেন। তবে দু'একজন এমন রয়েছেন যাঁরা কখনও মুরগির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। জানা গিয়েছে, এখনই মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। তবে তারা কতটা সুনিশ্চিত তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
