এই গ্রামের প্রায় সকলেই দৃষ্টিহীন। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এঁরা কেউই জন্মান্ধ নন। আর পাঁচটা সুস্থ-সবল মানুষের মতোই স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি নিয়ে জন্মান এ গ্রামের মানুষ। তবে জন্মের দিন দশেকের মধ্যেই রহস্যময় ভাবে অন্ধ হয়ে যান এই গ্রামের প্রায় সকলেই!
শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই যে এমনটা হয়, তা কিন্তু নয়। এই নিয়ম থেকে বাদ পড়ে না গ্রামের গৃহপালিত পশুরাও। জন্মের দিন দশেকের মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে অন্ধ হয়ে যায় তারাও!
একুশ শতকে এই ঘটনা অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটে মেক্সিকোর টিলটেপেক (Tiltepec) নামের ছোট্ট একটি গ্রামে। এই গ্রামে সব মিলিয়ে ৬০-৭০টি কুঁড়েঘরে বসবাস করেন জাপোটেক নামের এক উপজাতী গোষ্ঠীর সাকুল্যে শ’তিনেক মানুষ। এই গ্রামের প্রায় সকলেরই এই রহস্যময় ভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর খবরে নড়ে চড়ে বসে মেক্সিকোর প্রশাসন।
টিলটেপেক গ্রামের সকলেরই অদ্ভুৎ ভাবে হঠাৎ অন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে গবেষণাও শুরু করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান, ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রামে ‘ব্ল্যাক ফ্লাই’ নামের এক বিষাক্ত প্রজাতির মাছির আনাগোণা রয়েছে। ওই মাছির কামড়েই হয়তো শৈশবে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন এই গ্রামের সকলে!