সকাল থেকে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকা একপাল হাতি দেখতে হুড়োহুড়ি পর্যটকদের মধ্যে। জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকরা হাতির দলের সাথে সেল্ফি তোলার ধুম। হাতির পালের সামনে পড়ে সকাল থেকে রাস্তায় আটকে পড়লো কয়েকশো পর্যটক।
সময়মতো জয়ন্তীতে পৌঁছাতেই পাড়লো না পর্যটকরা।ফলে যানজটে স্তব্দ হয়ে পড়ে জয়ন্তী যাবার রাস্তা। হাতির দলটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে বক্সা টাইগার রিজার্ভের দমনপুর এবং রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা চেষ্টা করলেও হাতির দলটিকে রাস্তার ধার থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়।
সোমবার সকাল থেকেই আলিপুরদুয়ার থেকে জয়ন্তী যাবার পথে রাজ্য সড়কে পানিঝোড়ার কাছে ২০ টি হাতির একটি দল রাস্তা অবরোধ করে দাঁড়িয়ে থাকে। হাতির দলের সাথে তিনটি বাচ্চা থাকায় হাতির পালটিকে জঙলে ঢোকাতে বেগ পেতে হয় বনকর্মীদের।
এদিন দিনভর হাতির পাল দেখে আনন্দিত দেশ বিদেশের পর্যটকরা।তবে হাতির দল থেকে পর্যটকদের দূরে সরিয়ে রাখতে এদিন সারা দিন রাস্তায় টহল দিয়েছে বারোজন বনকর্মী।
কলকাতার বেহালা থেকে জয়ন্তীতে বেড়াতে আসা গৃহবধূ সঞ্চারি বসু বলেন আজ আমাদের ভাগ্য খুব ভালো ছিল। সারাদিন ধরে হাতির পাল দেখেছি। একসাথে এত হাতি দেখতে পাবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। ডুয়ার্সে আমাদের ঘুরতে আসা ১০০ শতাংশ সফল।
শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা মিতালি সরকার বলেন দিনভর হাতির সাথে সেল্ফি তুলেছি।তবে অনেক দূর থেকে। কারণ হাতির দলের সাথে তিনটি বাচ্চা হাতিও ছিল। সেগুলো রাস্তার এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছিলো। তাই বনকর্মীরা সকলকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে দিয়েছিল।
সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাতির দলটি বক্সা টাইগার রিজার্ভের বুক চিড়ে যাওয়া আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি জংশন পর্যন্ত যাওয়ার রেল লাইন টপকে ধিরে ধিরে জঙলে প্রবেশ করতে শুরু করে।