Yemen-এ 'নরকের কুয়ো'-তে প্রথমবার প্রবেশ করলেন গবেষকদের একটি দল। আর তাঁরা ভিতরে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলেন তা রীতিমতো অবাক করার মতো। দেখলেন, সেখানে সাপেদের বসবাস। সাপের গর্তে ভর্তি কুয়োর ভিতরটা।
এই কুয়োর নাম Well of Barhout। এতদিন পর্যন্ত এই কুয়োতে প্রবেশ করতে ভয় পেতেন সবাই। কেউ ভাবতেন, এটা পাতালের রাস্তা। আবার কারও মতে, এটি নরকের দরজা।
এই মুখের দরজাটি প্রায় ৯৮ ফিটের। ওমানের সীমান্তে অল-মাহরা প্রান্তে এই কুয়ো অবস্থিত। এতদিন পর্যন্ত ওই কুয়োতে কেউ প্রবেশের সাহস পাননি। তবে সম্প্রতি সেখানে যান ১০ গবেষক। তাঁদের মধ্যে ৮ জন প্রবেশ করেন তার ভিতরে। গিয়ে দেখেন, কুয়োর ভিতরটি বিশাল চওড়া। আর সেখানে রয়েছে জলপ্রপাত ও সাপের বাসা।
যদিও ওই কুয়োর ভিতরে কী আছে তা জানার জন্য উৎসাহ অনেকের মনেই রয়েছে। তাঁরাও গিয়েছিলেন গবেষক দলের সঙ্গে। তবে নামেননি ভিতরে। ওই গবেষকদলে ছিলেন এক জার্মান বিজ্ঞানী। তিনি জানান, তাঁরা এখানে এসেছেন কুয়োর ভিতরে কী আছে তা দেখার জন্য।
এই কুয়ো কতটা পুরোনো সেই সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনও নথি নেই। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, এর বয়স এক লাখ বছর বা তারও বেশি। এক গবেষক জানান, কুয়োর ভিতর কোনও পাতালপথ না নরকের দ্বার পাওয়া যায়নি।
সেখানে ছিল বিভিন্ন পশু-পাখির মৃতদেহ ও জলপ্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, এই কুয়োর ভিতরে কোনও অশুভ শক্তি আছে। তাই তার কাছে গেলেই সেই শক্তি মানুষকে ভিতরে টেনে নেয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই কুয়োর ভিতরে একাধিক স্তর পাওয়া গিয়েছে। এক একটি জায়গায় এক এক রকম জিনিস উদ্ধার হয়েছে। কোথাও দেখা গিয়েছে, সাপের গর্ত, কোথাও আবার বিভিন্ন খনিজ সম্পদ আবার কোথাও মূল্যবান পাথর।