সমুদ্রের নীচে জাহাজের নীচের অংশ রাডারে বসে তিনজন ১১ দিন প্রায় ঝুলে থাকলেন। শুধু ঝুলেই থাকলেন না ৩২০০ কিলোমিটার মারাত্মক ভয়ংকর রাস্তা সমুদ্রপথে সফর করলেন। জাহাজে যেই রাডারের তিনজন বসেছিলেন, তার চেয়ে মাত্র কয়েক ইঞ্চি নীচে সমুদ্রের ঢেউ ছিল। ওই তিন ব্যক্তি নাইজেরিয়া থেকে কানারি আইল্যান্ড পর্যন্ত ওইভাবে বসেই পৌঁছে গেলেন। যার দূরত্ব ৩২০০ কিলোমিটার। গোটা বিশ্বের ভূগোলবিদদের কাছে এই সমুদ্রপথ মারাত্মক রকমের বিপদ সংকুল।
তিনজন অয়েল ট্যাংকারওয়ালা জাহাজ এলিথিনে-টুর রাডারে বসে এই সফর করে ফেললেন। রাডার যে কোনও জাহাজকে দিশা দেওয়ার জন্য সহায়তা করে। এই অংশ জাহাজের নীচের দিকে জলের উপরে কয়েক ইঞ্চি উঁচুতে থাকে। বসে থাকা অবস্থায় তাদের ফটো স্প্যানিশ কোস্টগার্ডরা সোমবার শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে তিনজন রাডারের উপর বসে রয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। সেখানে এই সমস্ত লোকেরা সমুদ্রের ঢেউ থেকে কয়েক ইঞ্চি উঁচুতে রয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। যেখানে তারা বসে রয়েছেন, সেখানে সোজা হয়ে বসা যায় না। ঘাড় গুঁজে তিনজনকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন এমন সফর মানুষের প্রথমবার নয়, কিন্তু এমন ঘটনার পর মানুষের লাক সব সময় সঙ্গ দেয় না। যে জাহাজে এই তিনজন আসছিলেন, এটি নাইজেরিয়ার লাগোস শহর থেকে ১৭ নভেম্বর রওনা দিয়েছিল। ১১ দিন পরে ৩২ কিলোমিটার যাত্রা পার করে স্প্যানিশ সীমাতে প্রবেশ করে।
এর আগে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর ১৫ দিনের সফর পার করে
এর আগেও নাইজেরিয়ার এক কিশোর সমুদ্রের জল পান করে সফর করেছিল। ২০২০ সালে ১৪ বছরের কিশোর নাইজেরিয়ান ছেলে ১৫ দিনের সফর এভাবেই পার করে লাগস থেকে স্পেনে এসেছিল। ১৫ দিনের সফরের সময় শেষে সমুদ্রের জল পান করে এবং রাডারের উপর থাকা একটা গর্তের মতো অংশে ঘুমিয়ে ছিল। ২০২০ সালের চার জন বর্ডারের পেছনে মজুত থাকা ক্যামেরাতে লুকিয়ে ১০ দিনের সফরের পর স্পেন পৌঁছেছিল। স্পেনের ইন্টিরিয়ার মিনিস্ট্রি রিপোর্ট অনুযায়ী ১১৬০০ লোক সমুদ্র রাস্তায় নৌকাতে সফর করে দেশে দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে হাজার হাজার আফ্রিকান রিফিউজি শামিল রয়েছে।