ইউটিউব এর ভিডিও বানানোর চক্করে একটা এরোপ্লেন ক্রাশ করিয়ে দিলেন এক ইউটিউবার এবং ইচ্ছাকৃত ক্রাশ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যার পরেই ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) তাকে প্লেন ওড়ানোর উপরে ব্যান করে দেন।
এই ইনফ্লুয়েন্সার এর নাম ট্রেভর জ্যাকব (Trevor Jacob)। ইউটিউবে ওই ব্যক্তি ১ লক্ষ ৩৪ হাজারের বেশি ফলোয়ার নিয়ে ঘোরেন। তিনি ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ এ প্লেন ক্রাশ এর একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন। তাতে তিনি লেখেন আমি নিজের প্লেন ক্রাশ করে দিলাম।
জানিয়ে দেওয়া যাক আমেরিকার স্নো-বোর্ড অলিম্পিক টিমের প্রাক্তন সদস্য তিনি দাবি করেছেন ১৯৪০ এয়ারক্রাফট বিএল-৬৫ এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভিডিও দেখার পর অ্যাভিয়েশন এক্সপার্টদের লোম খাড়া হয়ে যায়। বিশেষ করে এটা দেখার পর যে, প্লেনের ইঞ্জিন ফেল হওয়ার আগে ওই ব্যক্তির প্যারাসুট পরে বসেছিলেন। কারণ প্লেনটি যে হাইটে ছিলে, অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে ছিল যেখান থেকে সেটিং হতে পারতো।
কিন্তু ওই ব্যক্তি প্লেন থেকে লাফ দিয়ে দেন প্যারাসুট থেকে নামার পর ক্র্যাশ সাইট এ পৌঁছে যান। তিনি এরপর তিনি আগে থেকে ফিট করা একটা ক্যামেরা বের করেন এবং সেখান থেকে নীচে নামতে থাকেন। পরে একটি লোকাল কৃষক তাকে বাঁচান।
একটি লেটার পাঠিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন এফএএ। উড়ানের সময় ক্র্যাশ করার ঘোষণা করার আগেই তিনি পাইলটের বাঁ দিকের দরজা খুলে দিয়েছিলেন। এরপর পাইলট লাইসেন্স রদ করে দিয়ে এফএএ। তারা জানিয়েছে আপনি কেয়ার, জাজমেন্ট এবং দায়িত্বের পরিচয় দেননি।
যদিও এই বিষয়ে জ্যাকব কোনও কমেন্ট করেননি বা তার কোন কমেন্ট সামনে আসেননি। তিনি এই ভিডিও নিয়ে প্লেন জেনে-বুঝে ক্রাশ করিয়ে দিয়েছেন বলে যে দাবি তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন।