scorecardresearch
 

ধনকুবের এই মহিলার বেস্ট ফ্রেন্ড এক গৃহহীন যুবক, কীভাবে হল বন্ধুত্ব?

Amanda Cronin একজন অত্যন্ত অর্থশালী মহিলা। অন্যদিকে তাঁর প্রিয় বন্ধু মার্টিন রিডের জীবনের একটা বড় অংশই কেটেছে গৃহহীন অবস্থায়। এমনকি জেলেও গিয়েছেন তিনি। 'দ্য সান'-এর তথ্য অনুযায়ী আমান্ডা ক্রোনিনের ১ বিলিয়ন ২২ কোটি টাকারও বেশি দামের বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি ৩০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আরও একটি বাড়ি কিনেছেন তিনি।

Advertisement
Amanda Cronin (ছবি সূত্র-সোশ্যাল মিডিয়া) Amanda Cronin (ছবি সূত্র-সোশ্যাল মিডিয়া)
হাইলাইটস
  • ফের চর্চায় আমান্ডা ক্রোনিন
  • বেস্ট ফ্রেন্ড বানালেন এক গৃহহীন যুবককে
  • জেনে নিন গোটা কাহিনি

ব্রিটেনের এক অত্যন্ত ধনী মহিলা আমান্ডা ক্রোনিন (Amanda Cronin) বছর তিনেক আগে একবার খবরে এসেছিলেন। কারণ সেইসময় তিনি এক অজানা ব্যক্তির আড়াই কোটি টাকার আংটি নিয়ে নিয়েছিলেন এবং সম্পর্কটিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এবার ফের একবার আলোচনায় আমান্ডা ক্রোনিন। এবার তাঁর খবরে আসার নেপথ্যে রয়েছে একজন নিরাশ্রয় মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব। Channel 4-এর The Millionairess and Me ডকুমেন্টরিতে আমান্ডা ক্রোনিন ও মার্টিন রিড নামে তাঁর ওই বন্ধুর কাহিনি রয়েছে। ২০১৯ সালে আমান্ডা ক্রোনিন জানিয়েছিলেন যে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে প্রোপোজ করেছে এবং আড়াই কোটি টাকার আংটিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন আমান্ডা, তবে আংটিটি তিনি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন। 

The Millionairess and Me-এর গল্পটা আসলে কী?
Amanda Cronin একজন অত্যন্ত অর্থশালী মহিলা। অন্যদিকে তাঁর প্রিয় বন্ধু মার্টিন রিডের জীবনের একটা বড় অংশই কেটেছে গৃহহীন অবস্থায়। এমনকি জেলেও গিয়েছেন তিনি। 'দ্য সান'-এর তথ্য অনুযায়ী আমান্ডা ক্রোনিনের ১ বিলিয়ন ২২ কোটি টাকারও বেশি দামের বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি ৩০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আরও একটি বাড়ি কিনেছেন তিনি। সেই বাড়িটির মেরামতি করাচ্ছেন ক্রোনিন। তাঁর আশা, পরবর্তীকালে সেই বাড়িটি ১ বিলিয়ন ১২ কোটির টাকারও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। বাড়ির বেশকিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন আমান্ডা। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে Mark Daeche-এর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর। যার জেরে প্রচুর অর্থ পান তিনি। 

Advertisement

কীভাবে হয়েছিল প্রথম সাক্ষাৎ?
মার্টিন রিডের বন্ধু জিনার কাছ থেকে একটি ককুরের ছবিসহ  ২ লক্ষ টাকা মূল্যের ব্যগ কেনার সময় মার্টিনের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় আমান্ডার। এরপর আমান্ডা মার্টিনকে বাড়িতে ডিনারে আমন্ত্রণ জানান এবং তাঁদের কথা শুরু হয়। 

জানা গিয়েছে ১৬ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিলেন মার্টিন রিড। প্রথমে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল সাফাইয়ের কাজ শুরু করেন তিনি। তার জেরে তিনি ইনসোমিনিয়ায় আক্রান্ত হন। শুরু হয় ওষুধ। কিন্তু ওষুধের বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাঁর শরীরে। সেই সময় বেশ কয়েকবছর গৃহহীন অবস্থায় কাটিয়েছেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন মার্টিন। ফিল্মমেকারের ডিগ্রি পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। ২৩ বছর বয়সে একবার জেলেও যেতে হয়েছিল মার্টিনকে। কারণ তিনি যাঁদের সঙ্গে থাকতেন তাঁদের বিরুদ্ধে ক্লোন ক্রেডিট কার্ড তৈরির অভিযোগ ছিল।  

আরও পড়ুন POCO M4 Pro 5G বনাম Vivo T1 5G : দুটিতেই 50MP ক্যামেরা, কোনটা সেরা? 

 

Advertisement