আমাদের বরাবরই তীরে এসে তরী ডোবে। দামী মোবাইল বা ল্যাপটপ কিনে বাড়ি এলেও, কি দিয়ে স্ক্রিন মুছব, তা আদৌ বুঝতে পারি না। অনেকে ন্যাকড়া ব্যবহার করেন, কেউ চশমার কাচ মোছার কাপড় ব্যবহার করেন। কেউ যা পান তাই ব্যবহার করেন। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয় না। এবার সেই চিন্তামুক্ত করতে এগিয়ে এল আর কেউ নয়। টেকনোলজি টাইকুন মার্কিন কোম্পানি 'অ্যাপল'।
১৯শো টাকার ন্যাকড়া
লাখ টাকার আইফোন, ২ লাখের ম্যাকবুক প্রো এবং তার জন্য ১৯শো টাকার ন্যাকড়া ! অ্যাপেল একটি ক্লিনিং ক্লথ লঞ্চ করেছে, যার দাম ১৯০০ টাকা। কোম্পানি এটিকে পলিশিং ক্লথ বলে জানাচ্ছেন। এতে ডিসপ্লে এবং ন্যানো টেকস্টার প্লাস পরিষ্কার করা যাবে।
এটা কি শুধু অ্যাপেল এর জন্যই ডিজাইন করা ?
প্রকৃতপক্ষে এটা শুধুমাত্র তাদের জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে কোনও গ্যাজেট, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, মোবাইল কিংবা ডেস্কটপের স্ক্রিন মোছা যেতে পারে। এমনকী স্মার্ট বা এলইডি টিভিও মোছা যাবে অনায়াসেই। কোনও সমস্যা হবে না।
স্ক্র্যাচ পড়বে না
সাধারণভাবে মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিন পরিষ্কার করতে মাইক্রোফাইবার ক্লথের ব্যবহার করা হয়। যা আপনি মার্কেট থেকে ১০০-২০০ টাকায় কিনতে পারবেন। অ্যাপেল ক্লথে এমন কি আছে, যা এত দাম রাখা হয়েছে? অ্যাপেল জানিয়েছে, যে এই পলিশিং ক্লথ সফট নন অ্যাবেরসিভ মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হয়েছে এবং যে কোনও অ্যাপেল ডিসপ্লে সাফ করতে সক্ষম। গ্লাস যেকোনওভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হবে। কোনও স্ক্র্যাচ পড়বে না।
দাম যতই হোক, কিনলে ঠকবেন না
অ্যাপেলের ম্যাকবুক সহ বেশ কিছু ডিভাইসে ন্যানো টেক্সটার গ্লাসের স্পেশাল কোটিং দেওয়া হয়। অ্যাপেল এর এই এক্সটার্নাল ডিসপ্লেতেও এই কোটিং দেওয়া হয়। এই স্ক্রিনে স্ক্র্যাচ লাগলে তা সহজে ওঠে না। তাই এটি সন্তর্পনে মোছার দরকার হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে যদি আপনি ন্যানো টেকস্টার অ্যাপেল এক্স ডিসপ্লে কেনেন তাহলে আপনি ৫ লাখ টাকা বেশি দাম দিতে হবে। তাহলে আপনার জন্য এই ক্লক। কারণ ৫ লাখের জিনিস কিনে ৯০০ টাকা দিতে কারও গায়ে লাগবে না। তবে দশ-বিশ হাজার টাকার ফোন কিনে ১৯শো টাকা দিয়ে তা কেনা কষ্টকর হতে পারে। তবে কেউ যদি কেনেন, তাহলে ঠকবেন না এটুকু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ।
টুইটারে মিম, মজা
যেখানে বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ডের দামি শার্ট, জামা, জুতো থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম পোশাক মেলে ওই টাকায়, সেখানে এক টুকরো কাপড় ১৯ শো টাকা দিয়ে কে কিনবেন ? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যারা নিজের ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে চায় তাহলে এটুকু খরচা করা তাদের পক্ষে কোনও ব্যাপার নয়। হইচই শুরু হয়েছে টুইটারে। কেউ কেউ বলছেন অ্যাপেল এর পক্ষে সব সম্ভব। অনেকে বলছে নিশ্চয়ই সোনায় মোড়া হবে।