বিহারের সিওয়ান জেলার মহারাজগঞ্জে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে আজও কোনও মন্দির নেই। গ্রামটির নাম সুরভীর। সেখানে আজও দেবতাদের খোলা জায়গায় রাখা হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই গ্রামে কেউ মন্দির বানারো চেষ্টা করলেই তাঁকে সাপ কমড়ায়। তাতে ঘটে যায় মৃত্যুও।
এই গ্রামের বাসিন্দা অনুজ পান্ডে জানান, বহু বছর আগে তাঁর দাদা সুরভীর গ্রামের পান্ডিজির টোলার শিবস্থানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সাপে কামড়ায় এবং তিনি মারা যান। তারপর থেকে আর যাঁরা যাঁরা সেখানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই একই ঘটনা ঘটেছে।
অনেকে ওই জায়গায় নাগ-নাগিনের জুটিও দেখেছেন। প্রকাশ পান্ডে নামে একজন জানান, এই নাগ-নাগিনীর জুটি একটি গাছের কাছে থাকে। তবে তারা কারও ক্ষতি করে না। কিন্তু যখনই কেউ মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করেন, তখনই তারা তাঁকে কামড়ায়।
তিনি জানাচ্ছেন, আজও সুরভীরের পণ্ডিজির টোলায় অবস্থিত ভগবান শিবের স্থানে পূজা করতে যান গ্রামবাসীরা। কিন্তু নাগ-নাগিনীর একটা ভয় তাঁদের মধ্যে থেকেই যায়। মহিলারা মনে করেন, নাগদেবতা উন্মুক্ত থাকতে চান। আর সেই কারণে যখনই মন্দির নির্মাণের কথা ওঠে, তখনই ঘটে যায় এমন কিছু ঘটনা। তবে ওই জায়গার প্রতি মানুষের বিশ্বাস প্রচুর। সেখানে গেলে মনোকামনা পূর্ণ হয় বলেও বিশ্বাস তাঁদের। আর শুধু ওই জায়গাতেই নয়, গ্রামে আরও এমন ৮টি জায়গা আছে যেখানে উন্মুক্তভাবেই থাকেন দেবদেবীরা।
আরও পড়ুন - শিক্ষকের 'সম্মান নেই', বেকারের 'চাকরি নেই', কোন পথে রাজ্যের ভবিষ্যৎ?