scorecardresearch
 

শিক্ষকের 'সম্মান নেই', বেকারের 'চাকরি নেই', কোন পথে রাজ্যের ভবিষ্যৎ?

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের কথায়, "শিক্ষাকে মনে হচ্ছে একটা ধ্বংসের পথে চালনা করবার চেষ্টা হচ্ছে। শিক্ষায় ৮১ হাজর বা ৮৭ হাজার পদ খালি আছে, নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে। শিক্ষা সংস্কৃতিতে রুচিকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। মনে হয় রাজ্যের ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার।"

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • শিক্ষকের কলার ধরার চ্যালেঞ্জ ছাত্রনেতার
  • এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর
  • রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা

কথায় বলে 'বিদ্যা দদাতি বিনয়ং'। অর্থাৎ বিদ্যা বিনয় দান করে। কিন্তু সাম্প্রতিকাকালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতার ভাইরাল অডিও টেপ কি সে কথার প্রমাণ দিচ্ছে? সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে উপাচার্যকে গালিগালাজ ও চড় মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয় (সেই ভিডিও ক্লিপিংসের সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা)। জানা যায় ওই ছাত্রনেতা নাকি টিএমসিপি-র প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট। যদিও গিয়াসউদ্দিন দলের কর্মী নয় বলেই দাবি করেন টিএমসিপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। পরে অভিযুক্ত ওই ছাত্রনেতাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। 

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক টিএমসিপি নেতার অডিও টেপ ( অডিও টেপের সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা)। সেই টেপে সঞ্জীব প্রামাণিক নামে ওই ছাত্রনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "যাদবপুরের কোন টিচারের কলার ধরতে হবে বলো সঞ্জীব প্রামাণিককে, এত বড় ক্ষমতা রাখে সঞ্জীব প্রামাণিক। এত বড় কথা বলে দিলাম, কার কলার ধরতে হবে? আমি ধরে নেব।" এতেই থেমে না থেকে নিজের 'অওকাত' বোঝাতে তিনি আরও বলেন, "আমার হিস্ট্রি, আমার অ্যাক্টিভিটি তোমাদের মধ্যে অনেকেই জান না।" 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সঞ্জীব প্রামাণিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা রাজনৈতিক মিছিল মিটিং করতে গিয়ে কবে কখন কী বলেছি তা তো সবসময় মাথায় রাখা সম্ভব না, তাই যারা এটা স্পাই লাগিয়ে বাইরে এনেছে তারাই প্রমাণ করুক আমি কবে, কোথায় এটা বলেছি। আমি খবর পেয়েছি ৩০ সেকেন্ডের একটি অডিও বেরিয়েছে, কিন্তু সম্পূর্ণ অডিও আমার কাছে না এলে আমি বলতে পারব না, এটা কেন বলেছিলাম"। তবে একের পর এক ছাত্রনেতার এহেন আচরণে স্বভাবতই শিক্ষামহলের একাংশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে ঠিক কোন পথে চালিত হচ্ছে ছাত্রসমাজ?

Advertisement

কর্মসংস্থান নিয়েও প্রশ্ন

এতো গেল শিক্ষার প্রসঙ্গ। প্রশ্ন রয়েছে কর্মসংস্থান নিয়েও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শিক্ষা শেষে কর্ম, এটাই একটি সুস্থ ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলা রাষ্ট্রের স্বাভাবিক নিয়ম হওয়া উচিত। কিন্ত এরাজ্যে এসএসসি-র মতো চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমনকি দিনকয়েক আগে তাঁকে সিবিআই-এর সামনে হাজিরারও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই নির্দেশে পরেরদিন স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এত বড় একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত দুর্নীতিতে যদি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীরই নাম জড়ায়, তাহলে সরকারের ওপর কীভাবে আস্থা রাখবেন চাকরি প্রার্থীরা? বিশেষজ্ঞদের আরও প্রশ্ন, আসলে ঠিক কোন পথে যাচ্ছে রাজ্য?

যা বলছেন শিক্ষাবিদ...

এই প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের কথায়, "শিক্ষাকে মনে হচ্ছে একটা ধ্বংসের পথে চালনা করবার চেষ্টা হচ্ছে। শিক্ষায় ৮১ হাজর বা ৮৭ হাজার পদ খালি আছে, নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে। শিক্ষা সংস্কৃতিতে রুচিকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। মনে হয় রাজ্যের ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার।"

আরও পড়ুনহঠাত্‍ কারও হিট স্ট্রোক হলে রোগীকে প্রথমেই কী করা উচিত?

 

Advertisement