পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা মিলল বহু প্রতীক্ষিত 'ব্লাড মুন'। আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই রক্তাভ লাল চাঁদের দেখা মিলল। এক্স ব্যবহারকারীরা এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। আকাশের এই অপরূপ সৌন্দর্য সত্যিই দেখার মতো।
ছবিতে চাঁদ রীতিমতো গাঢ় লাল রঙের। পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আলো ছড়িয়ে পড়ার কারণেই এই সময় চাঁদ এমন সুন্দর লাল লাগে। এই ঘটনাটিকে 'ব্লাড মুন' বলা হয়। এই সময়ে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল ও সবুজ আলো বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। লাল ও কমলা রঙ চাঁদের উপর প্রতিফলিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি 'রেইলি স্ক্যাটারিং' নামে পরিচিত। একই কারণে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় আকাশ লাল দেখায়।
১৩ এবং ১৪ মার্চের মধ্যে (অঞ্চলভেদে সময়ের পার্থক্য), ২০২২ সালের পর এই প্রথম চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেল। তবে এবারে গ্রহণে সবচেয়ে 'লাকি' নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশের মানুষ এবার বেশ ভাল করেই এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করেছে। চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করে এবং রাতের আকাশে যেন এক অপরূপ লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে।
'ব্লাড মুন'-এর কিছু দুর্দান্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
আরও কিছু নয়ভারিাম দৃশ্য...
দুর্দান্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে...
পশ্চিম ইউরোপের শহরগুলির মধ্যে লন্ডন আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হয়েছে।
এই অসাধারণ 'ব্লাড মুন'-এর কিছু দুর্দান্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক অনএডিটেড ছবির ভিউ প্রায় ২৫,০০০ ছুঁয়েছে।
এই গ্রহণ প্রায় ৬৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের আকাশে এই দৃশ্য দেখা যায়নি। ১৪ মার্চ ভারতবর্ষে যখন হোলি উদযাপন হচ্ছিল, তখন এই মহাজাগতিক দৃশ্য অধরাই থেকে যায়।
তবে চিন্তার কিছু নেই। এই বছর ৭ এবং ৮ সেপ্টেম্বর আবার একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। সেই সময় এই 'ব্লাড মুন' ৮২ মিনিট (১ ঘণ্টা ২২ মিনিট) স্থায়ী হবে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে এটি সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে।