রোজই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট। এই পরিস্থিতিতে চিনের Anyang সহ বেশকিছু শহরে লকডাউন করা হয়েছে। দুই কোটিরও বেশি মানুষ কঠোর লকডাউন নিয়মের অধীনে রয়েছেন। 'জিরো কোভিড পলিসি'র আওতায় বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে চিনে। আর সেই অনুযায়ী দেশবাসীর ওপরে কঠোর নিয়ম লাগু করেছে চিন। ডেলি মেলের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন বড় করে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। সেখানে হাজার হাজার ধাতব বক্স তৈরি করা হয়েছে। আর তারমধ্যে আইসোলেশানে রাখা হয়েছে গর্ভবতী মহিলা ও শিশু থেকে শুরু করে সকলকে।
করোনাকালের শুরুতে উহান ও হুবেই প্রদেশের বাকি অংশ বন্ধ করার পর এটাই সবচেয়ে কঠোর লকডাউন। বর্তমানে Shiyan-এ প্রায় সওয়া এককোটি মানুষ এবং Yuzhou-এ ১০ লক্ষ মানুষ লকডাউনের জেরে বন্দি রয়েছেন। অন্যদিকে শুধুমাত্র Anyang শহরেই ৫৫ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দী। 'জিরো কোভিড পলিসি'র জন্য চিনে যেভাবে লকডাউন করা হচ্ছে সেটিকে 'বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর লকডাউন' হিসেবে বলা হচ্ছে। যার জেরে জনগণের ওপরে অত্যন্ত নিষ্ঠুর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মেটাল বক্সে রাখা হচ্ছে মানুষকে
রিপোর্ট বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে ছোট ছোট বক্সের মতো ধাতব ঘরে ২ সপ্তাহ ধরে রাখা হচ্ছে। সেখানে রয়েছে বিছানা ও শৌচালয়। চিনের একটি সংবাদমাধ্যমে এই ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে Shijiazhuang প্রদেশে ১০৮ একর জমির ওপরে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প তৈরি করে মানুষকে রাখা হয়েছে। গতবছর জানুয়ারি মাসে এই ক্যাম্প প্রথমবার তৈরি করা হয়েছিল।
ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে অনেকেই নিজেদের খারাপ অভিজ্ঞনার কথা শেয়ার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন মেটালের ঘরে ঠান্ডায় এবং অত্যন্ত কম খাবার খেয়ে তাঁদের থাকতে হত। তাঁদের নিজেদের বাড়ি ছেড়ে সেখানে থাকতে জোর করা হয়। বাসে করে মানুষজনকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হত।
বিবিসিতে এক ব্যক্তি জানান,'প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা ছাড়া আর কিছুই নেই সেখানে। কেউ খোঁজ নিতে আসেননি। এটা কী ধরণের কোয়ারেন্টাইন? বয়স্ক ও শিশুদেরও রাখা হয়েছে। বাইরে বেরোলেই মারধর করা হত।'
প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে জারি করা লকডাউনে বাড়ির বাইরে বেরনোর অনুমতি নেই Anyang শহরের মানুষের। অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ। লকডাউন কতদিন চলবে সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়।