Dariya-E-Noor: কোহিনূরের বোন দরিয়া-এ-নূর, কয়েকশো কোটির এই হিরের রহস্য কী? চমকে উঠবেন

বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিক হিরে বললেই সবাই কোহিনূরের কথা ভাবেন। অনেকে আবার ভাবেন, এই হিরে নাকি ভীষণ অভিশপ্তও। এই বিষয়ে ইউটিউবে ভিডিওর অন্ত নেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই কোহিনূরের একটি 'বোন'ও আছে।

Advertisement
কোহিনূরের বোন দরিয়া-এ-নূর, কয়েকশো কোটির এই হিরের রহস্য কী? চমকে উঠবেনকোহিনূরের বোন দরিয়া-এ-নূর।
হাইলাইটস
  • বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত হিরে বললেই সবাই কোহিনূরের কথা ভাবেন।
  • অনেকে বলেন, এই হিরে নাকি ভীষণ অভিশপ্ত।
  • অনেকেই জানেন না, এই কোহিনূরের একটি 'বোন'ও আছে।

বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত হিরে বললেই সবাই কোহিনূরের কথা ভাবেন। অনেকে বলেন, এই হিরে নাকি ভীষণ অভিশপ্ত। এই বিষয়ে ইউটিউবে ভিডিওর অন্ত নেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই কোহিনূরের একটি 'বোন'ও আছে। আর সেটি নিয়েও রয়েছে আশ্চর্য রোমাঞ্চকর ইতিহাস। আজ সেই অজানা কাহিনীই জানতে পারবেন bangla.aajtak.in এর এই প্রতিবেদনে। তাই শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন। 

দরিয়া-এ-নূর
বিশ্বের অন্যতম বড় পিঙ্ক ডায়মন্ড এই দরিয়া-এ-নূর। আর একেই কোহিনূরের বোন বলেন রত্ন বিশেষজ্ঞরা। দরিয়া-এ-নূরের ওজন প্রায় ১৮২ ক্যারাট। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোলকোন্ডার বিখ্যাত কল্লুর খনি থেকে এই বড় হিরেটি পাওয়া গিয়েছিল। সেই একই খনি থেকে বেরিয়েছিল কিংবদন্তি কোহিনূরও। সেই কারণেই এই দুই হিরেকে দুই ‘বোন’ বলা হয়।

১৭৩৯ সালে ইরানের নাদির শাহ দিল্লি লুঠ করে অসংখ্য ধনরত্ন নিয়ে যান। তার মধ্যে ছিল এই দরিয়া-এ-নূর। নাদির শাহর সঙ্গে এটি পৌঁছে যায় ইরানে। পরে এটি ইরানের রাজপরিবারের রত্নভাণ্ডারের অংশ হয়ে ওঠে। আজও তেহরানের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে এটি রাখা আছে। ইরান সরকার এটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য করে।

কেমন দেখতে?
দরিয়া-এ-নূর হিরেটি আকারে চ্যাপ্টা। এটিকে 'টেবিল কাট' বলা হয়। সাধারণ হিরের মতো সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, রঙহীন নয়। এর থেকে হালকা গোলাপি আভা বের হয়। সেই কারণেই এটিকে পিঙ্ক ডায়মন্ড বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রঙিন হিরের বাজারে গোলাপি হিরের দামই সবচেয়ে বেশি। ফলে দরিয়া-এ-নূর শুধুমাত্র আকারেই নয়, বিরল রঙের দিক থেকেও অমূল্য বলা যেতে পারে।

রয়েছে নানা কাহিনী
এই হিরে নিয়েও একাধিক কাহিনী রয়েছে। অনেকে বলেন, এটি একসময় মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মুকুটে বসানো ছিল। আবার অনেক ইতিহাসবিদের মতে, এটি সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুঘল রাজভাণ্ডারে রাখা থাকত। তবে নাদির শাহই যে এটি লুঠ করে ইরানে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে সব ঐতিহাসিকই একমত।

আজ ব্রিটিশ রাজমুকুটের অলংকার ভারতের কোহিনূর। অন্যদিকে তার 'বোন' দরিয়া-এ-নূর ইরানে। বিশ্বের দুই প্রান্তে এই দুই ‘বোন’। কিন্তু তাদের সঙ্গেই জড়িয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের কয়েকশো বছরের ইতিহাস ও রাজনীতি।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকের বাজারে দরিয়া-এ-নূরের দাম কয়েকশো কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। তবে ইরান সরকার কখনও এই হিরের বিক্রির কথা ভাবেনি। এটি এখন ইরানের ঐতিহ্য এবং গৌরবের প্রতীক।

POST A COMMENT
Advertisement