পরিষ্কার-পরিছন্নতা খুব দরকার। জামাকাপড় থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি- সব ঝকঝকে তকতকে হওয়া দরকার। না হলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। আপনি অসুস্থ হতে পারেন।
যেতে পারে চাকরিও
এমনকি চাকরি হাত ছাড়া হতে পারে! চমকাবেন না, এমনটাই অনেকটা হতে যাচ্ছিল। চাকরি না গেলেও হুমকির মুখে অন্তত পড়তে হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। ধোয়াধুয়ির মতো সাধারণ বিষয়টা কিন্তু অন্যদিকে মোড় নিচ্ছিল।
বসের কড়কানি
বস তাঁর ওই কর্মীকে ডেকে রীতিমতো কড়কে দিয়েছেন। আর হবে না-ই বা কেন! টানা কোনও মোজা পরলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো খুব স্বাভাবিক। ব্রিটেনে তেমনটাই হইছে। মোজার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ধমক দিতে বাধ্য হয়েছেন ওই কর্মীর বস।
বিলেতের ঘটনা
ব্রিটেনের ক্রিস্টল শহরের ঘটনা। সেখানে এক ব্যক্তি টানা কয়েকদিন নিজের মোজা কাচেননি বা ধোননি। এবং সেটাই ব্যবহার করে গিয়েছেন।
ফল যা হওয়ার হয়েছিল। সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। প্রবল রেগে যান তার বস। তাঁকে শাস্তি দেন তোমার গার্লফ্রেন্ড যদি তোমার দুর্গন্ধযুক্ত মোজা না কেচে দেন, তাহলে কাল থেকে তোমাকে অফিস আসার আর কোনও দরকার নেই।
ওই ব্যক্তির নাম কেন মুর। মানে যিনি বস, তাঁর নাম। তবে তাঁর কর্মীর জবাব ছিল বেশ আজব। অনেকেই শুনে চমকে যাবেন। তাঁর বক্তব্য ছিল। কেন এতটাই বিষয়টি নিয়ে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মীর ওই বার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। আর তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
প্রবল সমালোচনা
এরপর বেশ কয়েকজন ইউজার ওই কর্মচারীর ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। অনেকেই তাঁর সমালোচনাও করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়া ছবিতে আর মেসেজ ওই কর্মী কী বলছেন? তিনি বলছেন, তাঁর এই অবস্থার জন্য দায়ী গার্লফ্রেন্ড কারণ। মোজা না কেচে দেওয়ার ফলে তিনি অপমানিত হয়েছে। তিনি নিজের গার্লফ্রেন্ডের সম্পর্কেও কটূ মন্তব্য করেছেন।
ওই ব্যক্তির নাম মাচান। তাঁর দাবি, তিনি বিনা মোজায় অফিসে যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর জুতো 'বড়সড় ফুটো' রয়েছে। যদিও পরে এই ব্যবহার বা বাহানার জন্য তাঁর বসের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
কাল দেখা হবে
কেন মানে তাঁর বস রাগের চোটে জানান, তাঁর জায়গায় অন্য কোনও কর্মী হলে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হত। তবে সেদিন বলেছিলেন 'কাল দেখা হবে।' আর তারপর অফিস থেকে চলে যেতে বলেছিলেন।