
অবিকল যেন ছোট শিশুর মতো দেখতে। মানুষের নয়, এক ছাগলের সন্তানকে ঘিরে হইচই অসমের এক গ্রামে। সম্প্রতি ওই গ্রামের এক ছাগল সন্তান প্রসব করে। কিন্তু সেই শাবকটি মোটেও স্বাভাবিকের মতো দেখতে ছিল না। স্থানীয়দের দাবি, মুখটা ছিল অবিকল ছোট শিশুর মতো। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষ শাবকটিকে দেখতে ভিড় জমান।
শাবকটিকে ঘিরে ভিড়
ঘটনাটি অসমের কাছাড় জেলার ধৌলাই বিধানসভা এলাকার গঙ্গা নগর গ্রামের। এখানে একটি পোষা ছাগল মানুষের মতো দেখতে সন্তানের জন্ম দেয়। শাবকটির দুই পা ও কান ছাড়া শরীরের বাকি অংশ ছিল মানব শিশুর মতো। তবে জন্মের আধাঘণ্টা পরেই শাবকটি মারা যায়। ছাগলটির মালিক জানান, গত সোমবার তাঁর পোষা ছাগলটি একটি শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু সেটি দেখতে অনেকটা মানবশিশুর মতো।
সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের লোকেরা ভিড় জমাতে থাকেন। অনেকে আবার বলেন, গ্রামের কোনও পূর্বপুরুষ ফের জন্ম নিয়েছেন। শাবকটির মুখটা মানবশিশুর মতো। কোনও লেজ ছিল না। দুটো হাত ছিল। তবে ৩০ মিনিট মতো জীবিত ছিল শাবকটি। সাধারণত এমন কোনও ঘটনা হলে বলা হয় অনুন্নত জীব। এক্ষেত্রেও তেমনটাই বলা হয়েছে।
কেমন এমন ঘটনা?
তবে বেশিক্ষণ বাঁচেনি ওই শাবকটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা স্থানীয় ধর্মীয় রীতি অনুসারে শাবক এটির শেষকৃত্য করে। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা হয়েছে। ছাগলের মানুষশিশুর মতো দেখতে সন্তান প্রসব আগেও করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর নেপথ্যে সাধারণত দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত জিনগত সমস্যা হলে এমন ঘটনা হয়। দ্বিতীয় কোনও সংক্রমণের ফলেও এমন হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে আদতে কী হয়েছে কিংবা ছাগলটির শারীরিক কোনও পরীক্ষা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। সাধারণত, ছাগল কিংবা কোনও প্রাণী এমন সন্তান জন্ম দিলে সেগুলি খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। এক্ষেত্রে ছাগলের ওই শাবকটি ৩০ মিনিট মতো জীবিত ছিল।