Doomsday Prediction: মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত মিলেছে! এমনই দাবি করে নেটমাধ্যমে চাঞ্চল্য ফেলে দিলেন এক বাঙালি সাধু। 'সাধক শ্যামা ক্ষ্যাপা' নামের ওই সাধু জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কলিযুগের অবসান ঘটবে। আসবে কল্কি অবতার। আর তার আগেই ঘটবে ভয়াবহ মহাপ্রলয়। ভিডিওতে সাধকের কথায়, 'আমরা বারবার বলছি, মহাপ্রলয়ের সংকেত এসে গিয়েছে। যে কোনও সময়ে ঘটে যেতে পারে প্রলয়। কিছু করার নেই, এ অনিবার্য। মহাপ্রলয় ঘটবেই।’ ভবিষ্যদ্বাণীতে সাধক আরও বলেন, 'এই পৃথিবী এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রলয় হলে সূর্যও যেন পশ্চিমে উঠতে পারে। এই রকমই বড় কোনও অঘটন যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে।'
সাধকের দাবি, হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত সেই ভবিষ্যদ্বাণীই যেন আজকের সময়ে সত্যি হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, 'বলা হয়, ধ্বংসের মুখে কল্কি অবতার আসবেন। সেই সময় সাত দিন পৃথিবীর বুকে আলো প্রবেশ করবে না।'
কিন্তু এমন অন্ধকার কেন হবে? এর ব্যাখ্যায় শ্যামা ক্ষ্যাপা বলেন, পরমাণু বোমার ভয়াবহতার মধ্যেই রয়েছে সেই রহস্য। যদি কোনও বড় যুদ্ধ হয়, তবে বিস্ফোরণের ফলে যে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়বে, তার জেরেই পৃথিবী ঢেকে যাবে ঘন অন্ধকারে।
শাস্ত্রমতে, কলিযুগের শেষ পর্যায়
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সময়কে ভাগ করা হয়েছে চারটি যুগে, সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ। কলিযুগই শেষ যুগ, যা শুরু হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের প্রয়াণের পর।
বেদব্যাস রচিত বিষ্ণু পুরাণ বলছে, শ্রীকৃষ্ণ স্বর্গে চলে যাওয়ার পর থেকেই কলিযুগের সূচনা হয়। এই যুগে পাপ, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় বাড়বে, এমনই বিশ্বাস বহু মানুষের।
শ্যামা ক্ষ্যাপা বলেন, এখনকার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। পৃথিবী এখন এক ভয়ঙ্কর বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে।
কল্কি অবতারের আগমন?
শাস্ত্রমতে, কলিযুগের অন্তিম পর্বে ভগবান বিষ্ণু কল্কি অবতার রূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন। তিনি আসবেন দুষ্টের দমন করতে এবং পৃথিবীতে ধর্ম ও শান্তি ফিরিয়ে আনবেন।
সাধক শ্যামা ক্ষ্যাপা বলছেন, 'কল্কি অবতার আসবেনই। তখনই হবে যুগের পরিসমাপ্তি এবং শুরু হবে সত্যযুগ।'
প্রলয় মানেই শেষ নয়
হিন্দু মতে কলিযুগের সমাপ্তি মানে পৃথিবীর শেষ নয়। বরং এটি এক নতুন যুগচক্রের সূচনা। কল্কি অবতার অধর্মকে ধ্বংস করে ফের সত্যযুগের প্রতিষ্ঠা করবেন।
সাধকের ভবিষ্যদ্বাণী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই অস্থির সময়ে সত্যিই কি তেমন কোনও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে? এই ভিডিওর বিষয়ে আপনার বিশ্লেষণ কী? জানন কমেন্টে।