ইউক্রেন থেকে যতদ্রুত সম্ভব ফিরতে চাইছেন সমস্ত ভারতীয়। কিন্তু ফিরতে চাইছেন না ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা সফিনা অকমোভা। তিনি তাঁর স্বামী মূলত ইউক্রেনেরই বাসিন্দা। তাছাড়া তাঁদের একটি ১১ মাসের সন্তানও রয়েছে। আসলে ইউক্রেনে এখন মার্শাল ল জারি রয়েছে। সেই কারণে তাঁর স্বামী দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না। তাই সফিনাও চান, তিনি যখনই ভারতে ফিরুন না কেন সঙ্গে যেন তাঁর স্বামী থাকেন।
বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনের বর্ডার গার্ড সার্ভিস ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত সমস্ত পুরুষের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মূলত দেশের নিরাপত্তা ও দেশবাসীকে একজোট করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। সফিনা জানাচ্ছেন, ইউক্রেনের সমস্ত নীগরিককেই সেনার সার্টিফিকেট দেওয়া হয় ও কলেজের পর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাঁরা আর্মিতে পরিষেবা দেন তাঁদের সৈনিক বলা হয়। এমনকি তাঁর স্বামীকেও যদি সরকার ডাকে তবে তাঁকে যেতে হবে। বর্তমানে তাঁরা বাঙ্কারে রয়েছেন বলেও জানান সফিনা।
কীভাবে হল বিয়ে?
সফিনার সঙ্গে তাঁর স্বামীর পরিচয় ইনস্টাগ্রামে হয়েছিল। দুজনেরই পছন্দ ছিল বাইক রাইডিং। দুজনেই বাইকার গ্রুপের সদস্য। সেভাবেই একসময় নম্বর শেয়ার হয়। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে যোগাযোগ। তাঁর স্বামীর গ্রুপ থেকেই প্রথম তিনি ইউক্রেনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পান। তাঁর স্বামী একটু ইংরেজি পারতেন না। তাই তাঁরা গুগলের সাহায্যেই কথা বলতেন। ২০১৯-এ তিনি প্রথম ইউক্রেন যান। তারপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্টতা বাড়ে ও বিয়ে হয়।
কিভে বিয়ে, ভারতে রিসেপশান
সফিনা জানাচ্ছেন কিভের মসজিদে তাঁদের বিয়ে হয়। পরে তাঁরা ভারতে ফেরেন এবং তাঁদের রিসেপশান হয়। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে এখনও পর্যন্ত দুই ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - Tata Motors : কামাল করল Tigor EV, ইলেক্ট্রিক গাড়ির বিক্রি বাড়ল ৪৭৮%