scorecardresearch
 

Aadhaar কার্ডে লেখা 'মধুর ৫ নম্বর সন্তান', স্কুলে ভর্তির সময় অবাক শিক্ষিকা

আধার কার্ডে লেখা "মধুর পাঁচ নম্বর বাচ্চা", স্কুলে ভর্তি নিতে গিয়ে হতভম্ব শিক্ষিকা

Advertisement
ভাইরাল আধার কার্ড ভাইরাল আধার কার্ড
হাইলাইটস
  • স্কুলে ভর্তি নিতে গিয়ে হতভম্ব শিক্ষিকা
  • আধার কার্ডে লেখা "মধুর পাঁচ নম্বর বাচ্চা",
  • গাফিলতির তদন্ত করা হবে

উত্তরপ্রদেশের বদায়ু জেলাতে আধার কার্ড বানানোর সময় এমন বিভ্রাট সামনে এসেছে যা দেখে সকলে হতভম্ব। এই গাফিলতি দেখে বলা যেতে পারে যে আধার কার্ড বানানোর দায়িত্ব যে সমস্ত সংস্থার উপর থাকে, তারা শুধু গাফিলতি করছেন তাই নয়, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অথবা তারা বিষয়টিকে ছেলেখেলার পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। আধার কার্ড বানানোর পর যখন স্কুলে ভর্তি করার জন্য একটি শিশুকে নিয়ে আসা হয়, তখন তার সামনে পুরো বিষয়টি আসে।

মধুর পাঁচ নম্বর বাচ্চা

আসলে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুর উত্তর বিলসি এলাকার একটি স্কুলে ভর্তি করতে একটি বাচ্চাকে নিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। এডমিশন করানোর সময় প্রাথমিক বিদ্যালয় যখন শিক্ষিকা তার আধার কার্ড দেখেন। তিনি এডমিশন করাতে অস্বীকার করেন। তার কারণ তারা আধার কার্ডে বাচ্চার নাম। বাচ্চার আধার কার্ডে কী লেখা ছিল জানেন! আধার কার্ডের লেখা মধুর ৫ নম্বর বাচ্চা। আধার কার্ডের নাম দেখে শিক্ষক বলেন এভাবে ভর্তি নেওয়া যাবে না। আধার কার্ডের নাম ঠিক করিয়ে নিয়ে আসুন।

ভাইরাল আধার কার্ড

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে আধার কার্ডটি। মধুর ৫ নম্বর বাচ্চা লেখা দরকার। মিডিয়াতে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। এই গ্রাম রায়পুরে বাসিন্দা দীনেশ এর পাঁচটি বাচ্চা রয়েছে। তাঁর ৩ শিশু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতিমধ্যেই পড়ে। দীনেশ নিজের মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তি করতে যখন পৌঁছন, তখন উপস্থিত শিক্ষিকা একতা বিষ্ণু, ভর্তি সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার পর যখন আধার কার্ড দেখতে চান, তখন তিনি চমকে ওঠন। আধার কার্ডে বাচ্চাটির নাম আরতির তো লেখা নেই, সেখানে লেখা আছে "মধুর ৫ নম্বর বাচ্চা"। তার সঙ্গে আধার কার্ড এ আধার নম্বরও নেই।

নাম সংশোধন না করা হলে ভর্তি নয়

Advertisement

শিক্ষিকা আরতির বাবা দীনেশকে আধার কার্ডের নাম সংশোধন করে আনার জন্য বলেন। তারপরই এডমিশন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়ে দেন এবং তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে এটা আবেদন জানিয়েছেন এ ধরনের ভুল যেন না হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। সময় থাকতে ইংলিশ সংশোধন করে নেওয়া উচিত।

গাফিলতি নিয়ে কি বলেন প্রশাসন?

আধার কার্ডে হওয়া এই ধরনের গাফিলতির মামলা সামনে আসার পর জেলাশাসক দীপা রঞ্জন জানিয়েছেন যে, আধার কার্ড ব্যাংক এবং ডাকঘরে বানানো হয়। এ বিষয়টি জানা নেই। কিন্তু এ ধরনের গাফিলতি কাম্য নয়। এমন যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে ডাকঘর এবং ব্যাংকের আধিকারিকদের সতর্ক করা হবে। এ ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র মানুষকে হয়রানি করছে তাই নয়, এটা হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গেছে প্রশাসনিক কাজকর্মকে। সঠিকভাবে যদি, যিনি গাফিলতি করেছেন তার খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

Advertisement