
কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। এই বিশ্বাসরেই এক ঘটনা সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া.র মাধ্যমে সামনে এসেছে। ঘটনাটা হল, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যান এক জন ব্যক্তি। আর স্কুলে গিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করেন শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে থাকে ব্যাগ, টিফিন বক্স, জলের বোতল সবকিছু। শ্রীকৃষ্ণ না বলে লাড্ডু গোপাল বলাই ভালো সেই ছাত্রকে। আপনারা হয়তো ভাবছেন এটা সম্ভব?
তাহলে বিষয়টা খুলে বলা যাক। আসলে ওই লাড্ডু গোপালকে নিজের সন্তান বলে মনে করেন দিল্লির বাসিন্দা রাম গোপাল তিওয়ারি। বছর সাতেক আগে তিনি বৃন্দাবনের এক আশ্রমে আসেন। সেখানেই এই লাড্ডু গোপাল ভগবানের সেবা করতেন। আর তা সন্তান স্নেহে। তখনই তিনি ঠিক করেন লাড্ডু গোপালকে স্কুলে ভর্তি করবেন।
আরও পড়ুন : জ্ঞানব্যাপীতে 'শিবলিঙ্গ', এটা কি মূল্যবান পান্না পাথরে তৈরি?
তখন স্থানীয় এক স্কুলে লাড্ডু গোপালকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান ওই ভদ্রলোক। স্কুলের অধ্যক্ষা দীপিকা শর্মা তো শুনে অবাক। তিনি বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কি স্কুলে ভর্তি নেওয়া সম্ভব? যদিও রাম গোপাল বাবুর পিড়াপিড়িতে লাড্ডু গোপালকে স্কুলে ভর্তি নেয় কর্তৃপক্ষ। এবার লাড্ডু গোপালের স্কুল যাত্রা শুরু হয়। প্রতিদিন ব্যাগ, জলের বোতল, টিফিন নিয়ে আর পাঁচজনের মতো স্কুলে ক্লাস করতে শুরু করে লাড্ডু গোপাল। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, গত চার বছর ধরে ওই স্কুলে এভাবেই পড়াশোনা করছে লাড্ডু গোপাল।
এবার প্রশ্ন, কেন লাড্ডু গোপালকে স্কুলে ভর্তি করলেন রাম গোপালবাবু? উত্তরে সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি আসলে লাড্ডু গোপালকে নিজের সন্তান বলেই মনে করেন। তিনি দেখেছেন, গ্রামের ছেলেরা স্কুল যায়। লাড্ডু গোপাল তাহলে কেন যেতে পারবে না। সেও যে তার সন্তান। শুরুতেই বলেছিলাম, কথায় আছে 'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।' রাম গোপালবাবু বিশ্বাস করেন, এই লাড্ডু গোপাল তার সন্তান। তাই তিনি তাকে স্কুলে নিয়ে যান।