Mount Everest On Edge: মাউন্ট এভারেস্টে ২০০০ বছরের বরফ গলল মাত্র ৩০ বছরে, বিপদের মুখে ভারত?

Mount Everest On Edge: মাউন্ট এভারেস্ট এবং K2-এ প্রায় ২০০০ বছরে যতটা বরফ জমেছিল, তা গলতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০-৩২ বছর। গবেষকদের অনুমান, K2 আর এভারেস্টের বরফের চাদর প্রতি বছর প্রায় দুই মিটার করে পাতলা হচ্ছে। মাউন্ট এভারেস্টে বরফ এই গলে যাওয়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮০ গুণ বেশি যা বেশ উদ্বেগজনক!

Advertisement
মাউন্ট এভারেস্টে ২০০০ বছরের বরফ গলল মাত্র ৩০ বছরে, বিপদের মুখে ভারত?মাউন্ট এভারেস্টে ২০০০ বছরের বরফ গলল মাত্র ৩০ বছরে!
হাইলাইটস
  • মাউন্ট এভারেস্ট এবং K2-এ প্রায় ২০০০ বছরে যতটা বরফ জমেছিল, তা গলতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০-৩২ বছর।
  • গবেষকদের অনুমান, K2 আর এভারেস্টের বরফের চাদর প্রতি বছর প্রায় দুই মিটার করে পাতলা হচ্ছে।
  • মাউন্ট এভারেস্টে বরফ এই গলে যাওয়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮০ গুণ বেশি যা বেশ উদ্বেগজনক!

Mount Everest On Edge, Climate Change: হিন্দুকুশ হিমালয় পর্বতমালার হিমবাহ নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দলের পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গিয়েছে যে, মাউন্ট এভারেস্ট এবং K2-এর বরফ অস্বাভাবিক হারে গলছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে আগামী সময়ে মাউন্ট এভারেস্ট এবং K2-এর উচ্চতাও কমবে, পাশাপাশি বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর যা মানব সভ্যতার বিনাশের অন্যতম একটি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!

কাঠমান্ডুতে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (ICIMOD) একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নতুন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই পর্বতগুলি থেকে সৃষ্ট ১২টি নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী প্রায় ২ কোটি মানুষের ভবিষ্যত দ্রুত ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে এগোচ্ছে। কাঠমান্ডুর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (ICIMOD) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভারেস্ট এবং K2-এ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

Mount Everest

সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট বলছে যে, মাউন্ট এভারেস্টের হিমবাহগুলি গত তিন দশকে (৩০-৩২ বছরে) গত প্রায় ২০০০ বছর ধরে জমা বরফ গলে গিয়েছে। এর ফলে এই পর্বতের হিমবাহ গলে যাওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, মাউন্ট এভারেস্ট এবং K2-এ প্রায় ২০০০ বছরে যতটা বরফ জমেছিল, তা গলতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০-৩২ বছর। গবেষকদের অনুমান, K2 আর এভারেস্টের বরফের চাদর প্রতি বছর প্রায় দুই মিটার করে পাতলা হচ্ছে।

এই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, K2 আর মাউন্ট এভারেস্টের তুষারের স্তর ক্রমাগত আশঙ্কাজনক হারে কমছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এভারেস্ট এবং K2-এ বরফের এই গলে যাওয়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮০ গুণ বেশি যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক! প্রতিবেদনের মূল অনুসন্ধানগুলির মধ্যে রয়েছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলি ২০১০ সাল থেকে পূর্ববর্তী দশকের তুলনায় ৬৫% দ্রুত গলে গিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে হিমালয়ের তুষারের আচ্ছাদন দ্রুত হ্রাসের ফলে বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর, কমবে মিঠে জলের সরবরাহ।

কাঠমান্ডুর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (ICIMOD)-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাউথ কোল গ্লাসিয়ার (South Col Glacier) পৃথিবীর অন্যতম রৌদ্রোজ্জ্বল স্থান। গবেষকদের আশঙ্কা, একবার সাউথ কোল গ্লাসিয়ারের হিমবাহের বরফ গলে গেলে বাকি হিমবাহের বরফ ২০ গুণ দ্রুত গলতে পারে। পাতলা পরফের চাদরে মোড়া হিমবাহগুলিতে বিপদ আরও বেশি।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement